বড়িতে নাড়ু বানানোর চল উঠে গিয়েছে, মিষ্টির দোকানের নাড়ুতে লক্ষ্মী-আরাধনা
laksmi pujo 2023

The Truth of Bengal: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। একটা পার্বণ শেষ হলেই এসে যায় অন্য পার্বণ। সবে শেষ হল বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। ঘরে ঘরে পূজিত হচ্ছেন লক্ষ্মীদেবী। বিভিন্ন নাড়ু এই পুজোয় অন্যতম উপকরণ। তবে এখন আর ঘরে নাড়ু তৈরি হয় না। মা-ঠাকুমাদের হাতের তৈরি বিভিন্ন ধরণের নাড়ু বানানোর গন্ধ আর পাওয়া যায় না। হেশেল ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন দোকানে। দোকান থেকে কিনেই কাজ চালিয়ে নিচ্ছে আম বাঙালি।সাবেক প্রথা মেনে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন হয় প্রতিটি ঘরে।
আর লক্ষ্মীপুজো মানেই বিভিন্ন ধরনের নাড়ু। আগেকার দিনে দেখা যেত লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন প্রতিটা ঘরে ঘরে বিভিন্ন ধরনের নাড়ু বানাতে বসতেন মা- ঠাকুমারা। নারকেল কুরতে কুরতে হাত অবশ হয়ে আসত। তাই পালা করে চলত নারকেল কোরা। কিন্তু সেসব অতীত। এখন আর সবাই বাড়িতে নাড়ু বানান না। ঝামেলা এড়াতে রেডিমেড নাড়ুর দিকে ঝুঁকছে আমজনতা। তাই এখন লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে মিষ্টির দোকানগুলিতে এখন নারকেল নাড়ু বানানো হয়।
পাড়ার মোড় হোক বা নামকরা মিষ্টি দোকান– সব জায়গায় এখন নাড়কেল নাড়ু মেলে।পাঁচ থেকে পনেরো টাকা বিভিন্ন দামে বিভিন্ন আকারের নাড়ু মিলছে দোকানে দোকানে। পুজো উপলক্ষে অলিগলিতে অনেক ছোট ছোট দোকান বসে। গুড় দিয়ে পাকানো মুড়ি, মুড়কির পাশাপাশি তিলের নাড়ু, নারকেল নাড়ুও মেলে। সেইসব নাড়ু কিনে চলল ধনদেবীর আরাধনা।
Free Access