Chandannagar: দেশপ্রিয় পার্কের দুর্গা নয়, এবার বিশ্বকে তাক লাগাল চন্দননগরের ৭৫ ফুটের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা!
৭৫ ফুট উচ্চতার এই ফাইবারের মূর্তি ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
রাকেশ চক্রবর্তী, হুগলি: দুর্গাপুজোয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিমা তৈরি করে নজর কেড়েছিল কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক। সেই ভাবনা থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে এবার চন্দননগরের কানাইলাল পল্লী জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি তৈরি করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। ৭৫ ফুট উচ্চতার এই ফাইবারের মূর্তি ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই বিশালাকার প্রতিমা, চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা আর বিপুল দর্শনার্থীর ভিড়। এই বছর সেই ঐতিহ্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে কানাইলাল পল্লী। পুজোর ৫২ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে দর্শনার্থীদের চমক দিতে এমন ব্যতিক্রমী পরিকল্পনা নিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।ফাইবার ও রেজিন দিয়ে তৈরি এই বিশাল প্রতিমার কাজ করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকার ফাইবার শিল্পীরা। প্রথমে মাটির প্রতিমা তৈরি করে তার উপর ফাইবারের স্তর বসানো হয়েছে। লোহার ফ্রেমে জুড়ে তৈরি হয়েছে মা জগদ্ধাত্রীর প্রতিমা, সিংহ, হাতি ও চালচিত্র (Chandannagar)।
চালচিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের ফাইবার মূর্তি। কানাইলাল পল্লী পুজো কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ পোদ্দার বলেন, ‘ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছিল। আমরা জগদ্ধাত্রী পুজোয় সেই রেকর্ড ভাঙার চেষ্টায় নেমেছি। সাধারণত চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ২৬ ফুট উচ্চতার হয়, কিন্তু আমরা এবার ৭৫ ফুটের প্রতিমা বানিয়েছি। এমন বিশাল জগদ্ধাত্রী প্রতিমা আগে কখনও তৈরি হয়নি।‘ তিনি আরও জানান, ‘প্রশাসনের সব নির্দেশ মেনেই প্রতিমা ও মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য প্যান্ডেলের উচ্চতা কিছুটা কমানো হয়েছে। মণ্ডপের ভিতরে রয়েছে ১৩ ফুট উচ্চতার আসল প্রতিমা, তবে বাইরে থেকেই দর্শন করা যাবে ৭৫ ফুট উঁচু ফাইবারের মূর্তি। আমরা আশা করছি, লক্ষাধিক মানুষ আসবেন এই প্রতিমা দর্শনে (Chandannagar)।‘
চন্দননগর ইতিমধ্যেই পুজোর আবহে রঙিন। শহর জুড়ে উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে একের পর এক পুজো মণ্ডপের। চন্দননগর কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এই বছর মোট ১৮০টি পুজো কমিটি পুজো আয়োজন করছে। এছাড়াও চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে আরও কয়েকটি বড় পুজো রয়েছে। প্রতি বছর চার দিনের জগদ্ধাত্রী পুজো এবার হবে পাঁচ দিনব্যাপী। দু’টি পঞ্জিকার মত অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। একাদশীর দিন প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে চন্দননগরের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব। ফাইবারে গড়া ৭৫ ফুট উচ্চতার মা জগদ্ধাত্রীর মহিমা দেখতে ইতিমধ্যেই চন্দননগরের কানাইলাল পল্লীতে দর্শনার্থীদের ঢল নামতে শুরু করেছে। বলা বাহুল্য, এই বছর পুজোর আকর্ষণ যে এখানেই কেন্দ্রীভূত, তা বলাই যায় (Chandannagar)।






