বাংলার বুকে মিনি মেঘালয়, যাবেন নাকি এই শৈলশহরে?
শালতোড়ার কাছে রয়েছে বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ১৪৮০ ফুট উঁচু বিহারীনাথ পর্বত।
Truth Of Bengal: কথায় বলে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। পুজোর ছুটিতে আপনার গন্তব্য হতেই পারে বাঁকুড়ার বিহারীনাথ। বাংলার বুকে আরাকু আবার কখনো বা বাংলার বুকে মিনি মেঘালয় বলে ডাকা হয় বাঁকুড়ার বিহারীনাথকে। এটি হল বাঁকুড়ার ‘হিডেন জেম’। বাঁকুড়া বললেই সকলে শুশুনিয়া পাহাড়ের কথা ভাবেন। কিন্তু জেলার শালতোড়ার কাছে রয়েছে বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ১৪৮০ ফুট উঁচু বিহারীনাথ পর্বত।

এখানে এলেই আপনি অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা বিহারীনাথ নামক জায়গার প্রেমে পড়ে যাবেন। এখানে ঘন সবুজ জঙ্গল, পাহাড়, মেঘের আনাগোনা, সব দেখতে পাবেন। পাহাড়ের টানের পাশাপাশি পাহাড়ের কোলে অবস্থিত বিহারীনাথ শিবমন্দিরের টানেও সারাবছর পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। পাহাড়ের কোলে প্রাচীন শিবমন্দিরকে সংস্কার করা হয়েছে। সামনে রয়েছে শিবকুণ্ড নামে পুকুর। এর জলকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। শিবরাত্রি ও শ্রাবণ মাসে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়।

শীতে শিশির ভেজা সবুজের আঁচল পাতা তো বসন্তে পলাশের আগুন রঙা ফাগের খেলা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপে উপভোগ করা যায় বিহারীনাথ পর্বতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। ঘন সবুজ জঙ্গলে ঘেরা এই পাহাড় ট্রেকারদের স্বর্গরাজ্য। বুনো জন্তুর দেখা মেলে। পাহাড়ের কোলে অবস্থিত বিহারীনাথ শিবমন্দিরের কাছ দিয়ে বয়ে গেছে দামোদর নদ। বিহারীনাথ থেকে ঘুরে আসা যায় সীতা ঝর্ণা, রামদা ঝর্ণা, লক্ষ্মণ ঝর্ণা।

কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে বিহারীনাথের দূরত্ব ২১৮ কিলোমিটার। বাঁকুড়া পর্যন্ত ট্রেনে এসে গাড়িতে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে আসা যায়। ট্রেনে রানিগঞ্জ এসে বাস বা গাড়িতে করে বিহারীনাথ আসা যায়। রানিগঞ্জ থেকে দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার।






