রাজ্যের খবর

কানপুরে মৃত বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের পাশে তৃণমূল

পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁদের বক্তব্য, ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত হওয়া দরকার। ঘাসফুল শিবিরও পরে এই নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে।

Truth Of Bengal: সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের কানপুরে কাজ করতে গিয়ে রহস্যমৃত্যু হয় বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক প্রতীক হেমব্রমের। রেললাইন থেকে পাওয়া যায় তাঁর দেহ। পরিবারের অভিযোগ, দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে রেললাইনে হত্যা করার পর। এই খবর পাওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৈরি এক প্রতিনিধি দল পরিবারে পাশে দাঁড়াতে সোমবার সকালে পৌঁছন দামোদরপুর গ্রামে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁদের বক্তব্য, ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত হওয়া দরকার। ঘাসফুল শিবিরও পরে এই নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে।

পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম বলেন, “স্ত্রী জানিয়েছে যে প্রতীকের গলায় আতঙ্ক ছিল যখন শেষবার কথা হয়েছিল।” এরপরই মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের কথা জানান তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “যথেষ্ট রহস্য রয়েছে দেহ যেভাবে উদ্ধার হয়েছে। সারা শরীরে ক্ষত থাকতো যদি রেললাইনে কাটা পড়তো। কিন্তু শুধু আঘাত আছে মাথার পেছনে।”

পাশাপাশি, যোগী আদিত্যনাথ নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারকেও একহাত নেন ঘাসফুল শিবিরের রাজ্যসভার সাংসদ। সামিরুল ইসলাম বলেন, “আপনারা জানেন যে উত্তরপ্রদেশে যেই সরকার চলছে, তা আদিবাসী-দলিত-সংখ্যালঘু বিরোধী। সেখানে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে বাঙালি শ্রমিকদের। এই পরিস্থিতিতে আমরা একেবারেই স্বাভাবিক বলে মেনে নিচ্ছি না আমাদের গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুকে। এর পুরো তদন্ত হওয়া দরকার। আমরা ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল দেখা করলাম পরিবারের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। তাঁদের আশ্বাস দিয়েছি সবরকমভাবে সাহায্যের।”

প্রতীক কানপুরে গিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতে। কিন্তু ঠিকমতো পারিশ্রমিক দেওয়া হতো না বলে অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং ভাবছিলেন বাড়ি ফিরে আসার কথা। এদিন তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন যে শেষবার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছিল গত ২১ অক্টোবর এবং তখন স্বাভাবিক কথাবার্তা হয়েছিল ও তখনও জানিয়েছিলেন ফেরার কথা। তার পরের দিন বহুবার ফোন করা সত্ত্বেও পাওয়া যায়নি স্বামীকে। শেষে যখন তিনি ফোন ধরেন, তখন গলায় পরিষ্কার আতঙ্ক ছিল। স্ত্রী জানতে চান যে কিছু হয়েছে কিনা। কিন্তু প্রতীক জানান কিছু হয়নি, তবে বারবার ফোন করায় ভর্ৎসনা করেন। তখন থেকেই পরিবারের চিন্তা হচ্ছিল। অবশেষে গত শনিবার পাড়ুই থানার দ্বারা খবর পাওয়া যায় যে প্রতীকের দেহ পাওয়া গিয়েছে কানপুরে রেললাইনে।

Related Articles