
The Truth of Bengal: বাংলায় বারো মাসে তেরো পার্বন। দুর্গাপুজো –ইদের মতোই মহরম,ছট পুজোতেও জাতিধর্ম নির্বিশেষে মানুষ সামিল হন।মূলতঃ ছট উত্সবে র আয়োজন করেন বাংলায় থাকা অবাঙালিরা। দুর্গোত্সবের মতোই ছট উৎসব চলে চার দিন ধরে। ভক্তরা ৩৬ ঘন্টা নির্জল উপবাস করেন সূর্য দেবতার পুজোপাঠের জন্য। এবার ছট উৎসব শুরু হয় ১৭ নভেম্বর থেকে। ব্রতীর নাহয়-খায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ছট উৎসব। ২০ নভেম্বর ঊষা অর্ঘ্য ও পারণের মধ্য দিয়ে শেষ হল ছট উৎসব। বিবাহিত দম্পতিরা দীর্ঘায়ু, তাদের সন্তানদের সুখী জীবন এবং গৃহে সুখ-সমৃদ্ধি কামনায় ছট উপবাস পালন করেন।
ছট পুজোর সূচি অনুযায়ী, শুক্রবার প্রথম দিন নাহয়-খায় অনুষ্ঠান হয়, শনিবার দ্বিতীয় দিন হয় খরনা, রবিবার তৃতীয় দিন সন্ধ্যা অর্ঘ্য, আর সোমবার চতুর্থ দিন ঊষা অর্ঘ্য দেওয়া হয় সূর্য দেবতাকে। শেষ দু’দিন ছট ব্রতীরা বিভিন্ন নদী বা জলাশয়ে সূর্যদেবকে অর্ঘ্য দিয়ে মঙ্গল কামনা করেন। কঠোর নিয়ম নীতি ও নিষ্ঠার সঙ্গে ছট পুজো করে থাকেন ব্রতীরা। পরিবারের মঙ্গল কামনায় তাঁরা এই পুজো করেন। কলকাতার মতোই জেলাতেও ছট পুজ নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা হয়।পুণ্যসলিলা গঙ্গা বা নদীতে স্নান করে অর্ঘ্য দেওয়ার পর ভক্তরা আলাদা অনুভূতি উপলব্ধি করে।
গঙ্গাসাগর থেকে সোদপুর,কাঁকিনাড়া-ভাটপাড়া সহ উত্তর ২৪পরগনার বিভিন্ন জায়গায় ভক্তদের সমাগম ছিল নজরকাড়া।দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া,.পুরুলিয়ার মতোই উত্তরবঙ্গের কালিয়াগঞ্জেও ভক্তদের মিলন উত্সব আলাদা সাড়া ফেলে। পুলিশ প্রশাসন সুষ্ঠুভাবে এই উত্সব পালনের জন্য ব্যবস্থা নেয়।ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট থেকে ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট সবকিছুই দক্ষ হাতে সামলান পুলিশ কর্মীরা।বাংলার সরকার ২দিন ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি উত্সব পালনে সবরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
Free Access