জুতো কেনার টাকা না পেয়ে আত্মঘাতী, সন্তান হারিয়ে শোকে মুহ্যমান বাবা

The Truth Of Bengal Desk: শ্রমজীবী বাবার কাছে জুতো কেনার বায়না ছেলের। অভাবের পরিবারে ছেলের সব দাবি পূরণ করতে পারতেন না বাবা। কারণ তাঁর সাধ্য ছিল না। জুতো কেনার বায়না না রাখতে পারায় কিশোর ছেলে যে এভা বে নিজেকে শেষ করে দেবে তা বিশ্বাস করতে পারছেন না বাবা। ছেলেকে হারিয়ে তিনি কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন। জুতো কিনে দিতে না পারায় বাবার ওপর অভিমান। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী ১৭ বছর বয়সী ছেলে। ছেলে হারানোর শোকে হতবাক বাবা। এমন ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। সামান্য জুতো কেনার টাকা না পেয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় চিন্তিত মনোবিদরা।
রাজমিস্ত্রির কাজ করে কোনরকমে চলে সংসার। অভাবে ছাপ সর্বত্র। তারই মাঝে হঠাৎ ছেলের জুতো কেনার বায়না। আর সেই বায়না রাখতে পারলেন না বাবা। বাবার প্রতি অভিমান করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল ১৭ বছর বয়সী সন্তান। সন্তান হারানোর শোকে দিশাহীন বাবা কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন। আত্মঘাতী কিশোরের নাম রামজিৎ মণ্ডল। নদিয়ার ফুলিয়ার চাপাতলা এলাকার ঘটনা। বাবা রনজিৎ মণ্ডল পেশায় রাজমিস্ত্রি। পরিবারের দাবি, রামজিৎ বাবার কাছে বায়না করেছিল একজোড়া জুতো কিনে দেওয়ার জন্য। বাবা বলেছিলেন এখন তাঁর কাছে কোনও টাকা নেই। কাছ থেকে ফিরে দেবেন। বাবা কাজে যাওয়া মাত্রই ছেলে হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। বিকেলে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরের একটি আমবাগানে রামজিৎ মণ্ডলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় এলাকার লোকজন। খব দেওয়া হয় পরিবারে। সবাই গিয়ে দেখেন নিথর দেহ ঝুলছে গাছে। ঘটনাস্থলে এসে ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
শনিবার মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য রানাঘাট পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। সামান্য জুতো কেনার টাকা না পেয়ে এক কিশোর কেন এ ভাবে নিজেকে শেষ করে দিল? কী কারণে এমন ঘটনা ঘটছে সমাজে? এমন ঘটনা সম্পর্কে মনোবিদের ব্যাখ্যা, একটা জুতো কিনে না দিতে পারায় আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা আর্তসামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। সেইসঙ্গে এখনই পেতে হবে- সন্তানরা যাতে এমন জেদ না করতে পারে তার জন্য ছোট থেকেই সেই ভাবে গড়ে তুলতে হবে।