আঘাত নয়, সতর্কতা! হাতি তাড়াতে অভিনব কৌশল ব্যবহার করছেন ডুয়ার্সের কৃষকরা
Truth Of Bengal: আমাদের প্রধান খাদ্য ফসল ধান। এই মরশুমে তা পাকতে শুরু করেছে। আর জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় সেই ধান ক্ষেতে বাড়ছে হাতি ও বিভিন্ন পাখির উৎপাত। তাই হাতি ও পাখিদের থেকে ধান ক্ষেত বাঁচাতে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করছেন জঙ্গল লাগোয়া এলাকার কৃষকরা। এতে শুধু ধান ক্ষেতে হাতি ও পাখির হানা আটকানো যাচ্ছে, তাই নয় বরং হাতি ও পাখিরাও আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছে না। কী এই পদ্ধতি?
আরও পড়ুনঃ নৃশংস! হাত-পা বাঁধা, গলায় পেঁচিয়ে ওড়না…, কাঁথির ঝাউ বনে উদ্ধার কিশোরির দেহ
ধান ক্ষেতের চারিদিকে তার টাঙিয়ে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর অন্তর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে প্লাস্টিকের প্যাকেটের টুকরো। আর হাতি ফসল খেতে প্রবেশ করতে চাইলেই তারের সাথে হাতির ঘষা লাগলেই হচ্ছে আওয়াজ। শুধু শব্দ নয়, কৃষকদের জন্য যেন এলার্ম হিসেবে কাজ করছে এটি।
যখনই ঝন ঝন আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন ক্ষেতের পাহারাদার বা জমির মালিক সঙ্গে সঙ্গে তারা সতর্ক হয়ে সার্চ লাইট জালিয়ে বা পটকা ফাটিয়ে হাতির দলকে তাড়িয়ে দিতে পারছেন। রাতেরবেলা এইভাবেই হাতির হাত থেকে ধান ক্ষেত রক্ষা করার পাশাপাশি দিনের বেলাও ঝুলে থাকা প্লাস্টিক হাওয়ায় নড়ে ওঠার ফলে পাখিরাও ক্ষেতে আসতে ভয় পাচ্ছে। কোথাও আবার ধান ক্ষেতের মাঝে টাঙানো হয়েছে লাল কাপড়।
অভিনব এই পদ্ধতিগুলি কাজে লাগিয়ে হাতির হানা থেকে ফসল রক্ষার ক্ষেত্রে অনেকটাই সাফল্য এসেছে বলে মত কৃষকদের। ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের গরুমারা জঙ্গল সংলগ্ন মূর্তি এলাকার ধান ক্ষেতে গেলেই দেখা যাবে এই অভিনব পদ্ধতি। স্থানীয়দের কথায়, “বর্তমানে ধানের মরসুমে হাতির পালের অত্যাচারে আমাদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। এরপর বহু চিন্তাভাবনা করে আমরা বিকল্প কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করতে শুরু করি। ধান পাকতে শুরু করেছে। তাই এই ব্যবস্থা করেছি। এখন হাতি ও পাখির হাত থেকে ধান ক্ষেতকে এই পদ্ধতির ফলে ভালোভাবেই ধান রক্ষা করা যাচ্ছে। “






