না ফেরার দেশে তৃণমূল নেতা মইনুল হক, শোকপ্রকাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ফারাক্কার প্রাক্তন বিধায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: গত সেপ্টেম্বর মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বহুদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তৃণমূল নেতা মইনুল হক। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে জিততে পারলেন না তিনি। রবিবার সকালে বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মৃত্যুকালীন তাঁর বয়স ছিল ৬৩ বছর। ফারাক্কার প্রাক্তন বিধায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আমার রাজনৈতিক সহকর্মী মইনুল হকের প্রয়াণে গভীর শোকজ্ঞাপন করছি। তিনি ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন এবং গত কয়েক বছর ধরে দলের উচ্চ পর্যায়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।
তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং সমর্থকদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই।
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) November 2, 2025
মইনুল হকের মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে লেখেন, “আমার রাজনৈতিক সহকর্মী মইনুল হকের প্রয়াণে গভীর শোকজ্ঞাপন করছি। তিনি ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন এবং গত কয়েকবছর ধরে দলের উচ্চ পর্যায়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।” অবশেষে তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, “তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং সমর্থকদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই।” প্রাক্তন বিধায়কের মৃত্যুতে বেশ শোক পেয়েছেন তাঁর অনুগামীরাও।
প্রসঙ্গত, প্রয়াত মইনুল হক প্রথম জীবনে যুক্ত ছিলেন হাতশিবির, ওরফে কংগ্রেসের সঙ্গে। ছাত্র রাজনীতিতে যেমন পরিচিত মুখ ছিলেন, তেমনি পরিচিত ছিলেন এলাকায় দাপুটে নেতা হিসেবেও। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথমবারের জন্য প্রতিদ্বন্দিতা করেন এবং নেমেই ছক্কা হাঁকান। এরপর তিনি টানা ৫ বার জয় পেয়েছিলেন ফারাক্কা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। তিনি সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির একজন সদস্যও ছিলেন। ২০২১ সালে ভোটে লড়লেও তিনি সাফল্য পাননি। সেই বছরই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা ধরেন কংগ্রেস ছেড়ে। ঘাসফুল শিবিরের হয়ে তিনি সক্রিয়ভাবে কাজ করতেন বলেও জানা গিয়েছে। তাঁর মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।






