‘গ্রেট অনার নিশান অব ইথিওপিয়া’ সম্মানে সম্মানিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধ সভ্যতার কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পাওয়া গর্বের বিষয়।
Truth Of Bengal: ইথিওপিয়া সফরকালে দেশটির সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান গ্রহণ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই সম্মান প্রদানের জন্য ইথিওপিয়ার জনগণ, সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধ সভ্যতার কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পাওয়া গর্বের বিষয়। তিনি উল্লেখ করেন, এই সম্মান এককভাবে তাঁর নয়, বরং বহু ভারতীয়ের অবদানের প্রতিফলন, যারা বছরের পর বছর ধরে ভারত-ইথিওপিয়া অংশীদারিত্বকে দৃঢ় করেছেন।
তিনি আরও জানান, পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং নতুন সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ইথিওপিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের একটি পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে তাঁর দ্বিপাক্ষিক সফরের গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল তুলে ধরা হয়। ওই পোস্টে জানানো হয়, ভারত ও ইথিওপিয়ার সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’-এ উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি শুল্ক বিষয়ক সহযোগিতা, ইথিওপিয়ার বিদেশ মন্ত্রকে ডেটা সেন্টার স্থাপন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে প্রশিক্ষণ সহযোগিতা এবং জি-২০ কমন ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় ঋণ পুনর্গঠন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
সফরের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফলাফলের মধ্যে রয়েছে, ইথিওপীয় শিক্ষার্থীদের জন্য আইসিসিআর বৃত্তির সংখ্যা দ্বিগুণ করা, আইটিইসি কর্মসূচির আওতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আদ্দিস আবাবায় মহাত্মা গান্ধী হাসপাতালের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভারতের সহায়তা, বিশেষ করে মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবায়।
এদিকে, তিন দেশের সফরের শেষ পর্যায়ে বুধবার ওমান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জর্ডান ও ইথিওপিয়া সফরের পর এটি তাঁর এই সফরের চূড়ান্ত গন্তব্য। সুলতান হাইথাম বিন তারিকের আমন্ত্রণে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বিতীয় ওমান সফর। ভারত-ওমান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তির সময় এই সফর হওয়ায় এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পাশাপাশি, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ওমানের সুলতানের ভারত সফরের পর এই সফর দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক যোগাযোগকে আরও জোরদার করবে বলে মনে করা হচ্ছে।






