H-1B Visa Fee: ভিসার ফি ১ লক্ষ ডলারে বৃদ্ধি! ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একজোট ২০টি মার্কিন প্রদেশ

Truth of Bengal: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া H-1B ভিসার ফি একধাক্কায় ১ লক্ষ মার্কিন ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এবার বিপাকে ফেলেছে হোয়াইট হাউসকে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আমেরিকার ২০টি প্রদেশ একযোগে আদালতে মামলা করেছে। এই প্রদেশগুলির দাবি, ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ বেআইনি এবং এর ফলে সরকারি পরিষেবা ও পাবলিক সার্ভিসের ব্যাপক ক্ষতি হবে।

মূলত ডেমোক্র্যাটদের প্রভাব থাকা প্রদেশগুলিই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ক্যালিফোর্নিয়া। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব রন্টা এই বিষয়ে তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “H-1B ভিসার প্রক্রিয়াকরণের জন্য যে খরচ হয়, এই ধার্য করা ফি তার চেয়ে অনেক বেশি। কোনোভাবেই এটি মেনে নেওয়া যায় না।”

মামলাকারী প্রদেশগুলির আরও দাবি, ফি বৃদ্ধির এই প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং প্রযুক্তি খাতে। কারণ H-1B ভিসার মাধ্যমে চিকিৎসক, নার্স, শিক্ষক, গবেষক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের মতো অত্যন্ত দক্ষ বিদেশি কর্মীদের আমেরিকায় নিয়োগ করা হয়। রব রন্টা আরও যোগ করেন, “বিশ্বের সেরা প্রতিভাবান কর্মীরা আসেন বলেই আমেরিকার অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে। কিন্তু এই নতুন ফি ধার্য করার ফলে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির উপরে চরম আর্থিক চাপ পড়ছে। এমনিতেই দেশটিতে কর্মী সংকট চলছে, ফি বৃদ্ধি পেলে তা আরও বাড়বে।”

উল্লেখ্য, H-1B ভিসার জন্য আগে ৯৬০ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৭,৫৯৫ ডলার পর্যন্ত দিতে হতো। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক ভিসার আবেদনের জন্য কর্মীদের প্রায় ১ লক্ষ মার্কিন ডলার দিতে হবে। প্রদেশের স্টেট প্রেসিডেন্টদের দাবি, দক্ষ কর্মীদের সহজে আমেরিকায় আনার উদ্দেশ্যেই H-1B ভিসা চালু হয়েছিল। ফি বৃদ্ধি করলে সেই উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। উপরন্তু, আইনসভা এখনও এই ফি বৃদ্ধির কোনো অনুমোদন দেয়নি। তবে, হোয়াইট হাউস এর পাল্টা দাবি করেছে যে, আমেরিকার শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।