Strobilanthes parryorum: ৯৬ বছর পর মিজোরামের পাহাড়ে বিস্ময়! ‘নীলাকুরিঞ্জি’-র মতো বিরল প্রকৃতির ফুলের গাছের সন্ধান
এর মধ্যে অন্যতম হল 'নীলাকুরিঞ্জি', যা নীলগিরির পাহাড়ে প্রতি ১২ বছর অন্তর ফোটে।
 
						Truth of Bengal: পাহাড়ে বেড়াতে গেলে উপত্যকার রঙবেরঙের ফুল পর্যটকদের নজর কাড়ে, যা পাহাড়ের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তেমনই কিছু বিরল প্রজাতির ফুল পাহাড়ি অঞ্চলে দেখা যায়। এর মধ্যে অন্যতম হল ‘নীলাকুরিঞ্জি’, যা নীলগিরির পাহাড়ে প্রতি ১২ বছর অন্তর ফোটে। সম্প্রতি মিজোরামের পাহাড়ে সেই রকমই এক বিস্ময়কর আবিষ্কার হয়েছে – ৯৬ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া একটি বিশেষ গাছের সন্ধান মিলেছে। তামিলনাড়ু ও মিজোরামের বিজ্ঞানীরা এক যৌথ অভিযানে মিজোরামের পাহাড়ে এই হারিয়ে যাওয়া গাছটিকে পুনরায় খুঁজে পেয়েছেন। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় এই গাছটির নাম ‘Strobilanthes parryorum’। এটি মূলত এক প্রকার ফুলের গাছ।
ব্রিটিশ বিজ্ঞানী অ্যানা ডানেট পেরি এই গাছটিকে প্রথম মিজোরামের পাহাড়ে আবিষ্কার করেছিলেন। এরপর থেকে প্রায় এক শতক ধরে এর আর কোনো দেখা মেলেনি। সম্প্রতি মিজোরামের পাঞ্চুঙ্গা ইউনিভার্সিটির লুসি লালাম্পুই এবং খোলরিং লালচন্দমার নেতৃত্বে বোটানিস্টদের (উদ্ভিদ বিজ্ঞানী) একটি দল অভিযানে বেরোয়। তাঁরাই মিজোরামের দারজো থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তরে এই গাছের সন্ধান পান। এই পুনরাবিষ্কারের কথা জার্নাল অফ থ্রেটেন্ড ট্যাক্সা নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাছগুলি লম্বায় প্রায় ২.৫ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। এই গাছে ফুল ফোটে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এবং ফুলগুলি হয় হালকা হলুদ রঙের।
গাছটির একটি বিশেষত্ব হলো, এটি অনেকটা ‘নীলাকুরিঞ্জি’-র মতোই বিরল প্রকৃতির। এই গাছেও ফুল ফোটে মাত্র একবার, তারপর বহু বছরের জন্য আর কোনো ফুল হয় না। বিজ্ঞানীরা তাঁদের অভিযানে এই বিরল প্রজাতির মোট ৩৫টি ফুল দেখতে পেয়েছিলেন বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
 
				





