রাজ্যের খবর

কমনওয়েলথ গেমসে খেলার সুযোগ এলেও টাকার অভাবে থমকে হাওড়ার যুবকের স্বপ্ন

The dream of the Howrah youth came to a standstill due to lack of money despite the opportunity to play in the Commonwealth Games

Truth Of Bengal: কমনওয়েলথ গেমস। যেখানে সাফল্য পাল্টে দেয় জীবন। কিন্তু সেই সাফল্য ছোঁয়ার স্বপ্ন আজ অন্তরালে । তেমনই ঘটতে চলেছে হাওড়ার তরুণ প্রতিভার সাথে। কমনওয়েলথ গেমসে খেলার সুযোগ পেয়েছে হাওড়ার কলোরার এক যুবক। নাম কুশল ঘোষ। কিন্তু আর্থিক সক্ষমতা না থাকার জন্য তার এই স্বপ্ন এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে।

হাওড়ার কলোরার কুশল ঘোষ কমনওয়েলথ গেমসে যাবার সুযোগ এসেছে। ভারতের হয়ে ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় খেলবেন । কমনওয়েথ গেমসটি হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। তাই এত দূরে যাতায়াত খরচ প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মতো । এত টাকা খরচ করে যাবার মত আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই তাদের পরিবারের। তাই সরকারের মুখাপেক্ষা হয়ে তাকিয়ে রয়েছে এই তরুণ। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি ঝোঁক ছিল। তাই ক্যারাটে প্রশিক্ষণকে বেছে নেয় কুশল।

রাজ্যের পর জাতীয় স্তরে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন গোল্ড মেডেলিস্ট হয়েছে কুশল। এমনকি আন্তর্জাতিক স্তরেও ৫ বার গোল্ডমেডেলিস্ট। থাইল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হবার পরই কমনওয়েলথ গেমসে যাবার সুযোগ আসে। এই সুযোগ আসার পরে বুকভরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেও আর্থিক ভাবে সেই সক্ষম না থাকার জন্য তার স্বপ্ন  ভাঙার পথে। আর এই স্বপ্ন সত্যি করতে হলে সরকারি মুখাপেক্ষা ছাড়া তা সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার হাওড়া শরৎ সদনে জেলাপরিষদের পক্ষ থেকে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের ও বিশিষ্ট ক্রীড়া বিদদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলা শাসক পি দীপাপ প্রিয়া, জেলা পরিষদের সভাপতি কাবেরী দাস, সভাপতি অজয় ভট্টাচার্য, উলুবেড়িয়া পূর্বের বিধায়ক বিদেশ বোস সহ জেলা পরিষদের সদস্যরা। ওই  অনুষ্ঠানে কুশল কে সংবর্ধনা সহ ৫০০০ টাকার চেক তুলে দেন। সেই টাকায় যে সাউথ আফ্রিকায় যাওয়ার উপায় নেই তা জানান ওই তরুণ।

ফেডারেশন এর পক্ষ থেকে যাতায়াতের টাকা দিতে পারা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। বাবা প্রদীপ ঘোষ জানান তিনি সামান্য দোকানে কাজ করেন। তাই তার পক্ষে ছেলে কে লক্ষ টাকা দিয়ে পাঠানো সম্ভব নয়। সরকারের কাছে আবেদন করেছেন সরকার যদি কিছু ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে সম্ভব। তবে জেলা পরিষদের সদস্য তুষার কান্তি ঘোষ এই বিষয়ে জানান, আমাদের যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আছে তারা এখনো পর্যন্ত ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি করতে পারেনি। ওই জন্য বহু প্রতিভাবান তারা কিন্তু সুযোগ পায় না।

জেলা পরিষদ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে জেলাপরিষদের ক্ষমতা অনুযায়ী। আমার তরফ থেকে যতটা পারবো ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য করবো। এছাড়া আরো জনপ্রতিনিধি আছে বিধায়ক, সাংসদ, তাদের কাছে খবরটা পৌঁছালে সাহায্য করবেন। এখন দেখার কুশল কে সাহায্য করতে কারা কারা এগিয়ে আসে? এখন দেখার তার সেই স্বপ্ন সত্যি হবে নাকি মফস্বলের কোলাহলে হারিয়ে যাবে?

Related Articles