
The Truth of Bengal: বিভিন্ন কারখানায় কয়লা পোড়ানোর ছাই থেকে বাড়ছে দূষণ। আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মোট ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি ওয়ার্ডে দূষণের পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে যা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। দেশের বৃহত্তম স্টিল কোম্পানি SAIL-এর বার্নপুরের ISP কারখানা থেকে ট্রাকে ওভারলোড করা ছাই পাঠানো হচ্ছে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়। সেই ছাই ঢেকে নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ঢেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। ফলে সেই ছাই উড়ে মিশে যাচ্ছে বাতাসে। ছড়িয়ে পড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। এই ছাই থেকে ছড়িয়ে পড়া দূষণে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট।
প্রচণ্ড সমস্যায় পড়ছে মানুষ। উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরাও। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত দূষণের কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। নাক-মুখ খোলা থাকার কারণে বাতাসে উড়ে আসা ধুলোবালি ফুসফুসে প্রবেশ করছে। দূষণ এড়াতে কোনও সুরক্ষা ব্যবহার না করা হলে ভবিষ্যতে জীবন বিপন্ন হতে পারে। তাই মুখ-নাক ঢেকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে বাতাসে যে ছাই উড়ে বেড়াচ্ছে তা আটকানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়াচ্ছে যে পথে চলাফেরাই দায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের।রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সেইল-এর উদাসীনতায় বাড়ছে দূষণ।
ফলে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। বাধ্য হয়ে অনেকে একালা ছড়ে চলে যাচ্ছেন। এরইমধ্যে আসানসোলের এই দূষণ নিয়ে চলছে রাজনৈতিক কাজিয়া।আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মোট ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি ওয়ার্ডে দূষণের পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে যা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। কিছুদিন আগে বিভিন্ন ব্লকের BDO বা জয়েন্ট BDO, SAIL, Railways, ECL-সহ কর্পোরেশন প্রশাসন দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা করেছিল। অনেক কৌশলও তৈরি করা হয়েছিল। তাও কমানো যাচ্ছে না দূষণ।
free Access