দেউচা পরিদর্শন আধিকারিকদের জমি দিতে এগিয়ে আসছে মানুষ
People are coming forward to give land to Deucha inspection officers

Truth Of Bengal: জোর কদমে কাজ শুরু হল ডেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্প এলাকায়। ইতিমধ্যে শিল্পের জন্য খনন হয়েছে একাধিক জায়গায়। শুক্রবার বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের ডেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্প এলাকার চাঁদা এলাকা পরিদর্শনে যান পিডিসিলের চেয়ারম্যান পিবি সেলিম। সঙ্গে ছিলেন আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের সচিব ছোটেন ডি লামা, পিএইচই সচিব সুরেশ চন্দ্র গুপ্ত সহ রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। সবাই কয়লা শিল্পের জন্য হওয়া খননস্থল পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে তাঁরা মথুরাপাহাড়ি এলাকায় সরকারি ক্যাম্পে যান। সেখানে প্রশাসনের হাতে কিছু জন জমির কাগজ তুলে দেন।
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প দেওচা পাচামি কয়লা শিল্প কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। যেখানে প্রায় দেড় হাজার জনকে চাকরি প্রদান করা হয়েছে চতুর্থ শ্রেণি পদে এবং জুনিয়র কনস্টেবল পদে। এখানে জমি দিলে কেউ বঞ্চিত হনে না। প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার এই কথা বলা হয়। তবে এটা শুধু কথার কথা নয়, বাস্তবে সেটা করে দেখাচ্ছে প্রশাসন। তাই এখন ওই এলাকার মানুষ স্বেচ্ছায় জমি দেওয়ার ভিড় জমাচ্ছেন। এদিনও অনেকে স্বেচ্ছায় তাদের জমি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। এর আগে সিউড়ির আবদারপুর কয়লার শিল্প অফিসে ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হয়। সেদিন জেলাশাসক বিধান রায়, জেলার পুলিশ সুপার অমনদীপ, রাজ্যসভার এমপি সামিরুল ইসলাম সহ পিডিসিএল-এর চেয়ারম্যান পিবি সেলিমের উপস্থিতিতে সেখানে খনন কার্য শুরু হয়। সেদিন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কার্যের সূচনা হয়। শুক্রবার বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের ডেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্প এলাকার চাঁদা এলাকা পরিদর্শন করেন পিডিসিএল-এর চেয়ারম্যান পিবি সেলিম-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
এখন মহম্মদবাজার ব্লকের ডেউচা-পাঁচামি চাঁদা মৌজায় প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয়েছে। এই কয়লা শিল্পের জন্য প্রথমে যারা বিরোধিতা করেছেন তারাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে এসেছেন। কয়লা শিল্প কাজ যাতে দ্রুত গতিতে এগোয় তার জন্য সহযোগিতা করছেন হাসিমুখে। এই শিল্পের জন্য জমিদাতাদের প্রায় দেড় হাজার জনকে ইতিমধ্যে চতুর্থ শ্রেণির পদে কাজ সহ জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রচুর জমিদাতা স্বেচ্ছায় জমি দিতে এগিয়ে এসেছেন। প্রথম ধাপের এই যে কাজ শুরু হয়ে গেল, এবার বাকি কাজ এগিয়ে যাবে দ্রুতগতিতে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে বলেছিলেন, ‘দেউচা পাচামিতে আগামী কাল থেকেই কয়লা উত্তোলন শুরু হবে। এখানে যা কয়লা রয়েছে, তাতে আগামী ১০০ বছর বিদ্যুতের খামতি থাকবে না রাজ্যে। এখানে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। যদি কোনও শিল্প সংস্থা এখানে বিনিয়োগ করতে চায়, তা হলে আমার মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’ রাজ্যের শিল্পবান্ধব ছবি তুলে ধরতে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে আসে বীরভূমের দেউচা-পাচামির কয়লা খনির কথা। যেখানে ২১০ কোটি ২০ লক্ষ টন কয়লা মজুত রয়েছে। মজুত থাকা কয়লার নিরিখে দেউচা পাচামি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম। কবে থেকে সেখানে কাজ শুরু হতে পারে? বিভিন্ন মহলে এই প্রশ্ন এতদিন ঘোরাফেরা করছিল। অবশেষে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, চাইলে কাল থেকেই কাজ শুরু করা যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো কাজ শুরু হয়েছে দেউচা পাচামিতে। সেই কাজে অগ্রগতি আরও বাড়াতে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করলেন উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক আধিকারিকরা।