অনূর্ধ্ব ১৯ বাংলা দলের সম্ভাব্যতালিকাতে নাম মালদার ক্রিকেটার এজাজউদ্দিনের, লক্ষ্য দেশের জার্সিতে খেলা
Malda cricketer Ejazuddin's name in the probable list of U-19 Bengal team, the aim is to play in the country's jersey.

The Truth of Bengal: দুচোখে তাঁর বড় স্বপ্ন। সফল ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চান তিনি। দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ার কঠিন লড়াই লড়ছেন মালদার চাঁচলের এজাজউদ্দিন। চাঁচল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর এখন প্রতিযোগিতামূলক খেলায় সাফল্যের ছাপ রাখছেন তিনি। জেলা ও রাজ্য স্তরে অলরাউন্ডার ক্রিকেটার হিসেবে সুনাম আদায় করে নিয়েছেন আন্ডার নাইনটির এই খেলোয়াড়।
এমনও অনেকে আছেন যাঁদের ইচ্ছে থাকলেও তা পূরণ করতে পারেন না। দারিদ্রতার বাধা টপকে সাফল্যের সিঁড়িতে পা রাখা তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জের।সেরকমই এক অনন্য প্রতিভার অধিকারী মালদার চাঁচলের এজাজউদ্দিন। ছোট বেলা থেকেই একচালা টিনের ছোট্ট ঘরে থাকেন এই কিশোর। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই সে ক্রিকেটকে ভালোবেসে ফেলে। তাই ৭বছর বয়সেই চাঁচল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করে একচিলতে টিনের ঘরে থেকে বেড়ে ওঠা এই উদীয়মান ক্রিকেটার। দিনমজুর পরিবারের এই সন্তানের ঘরে সেভাবে সূর্য ঢোকে না। তবুও জীবনের সূর্যোদয় ঘটাতে নিরন্তর লডাই করছেন।অল্পবয়স থেকেই ব্যাটে-বলে ঝড় তুলতে শেখেন চাঁচলের এজাজউদ্দিন।তারপরই একের পর এক খেলায় তাক লাগিয়ে দেন।প্রতিপক্ষকে দুরমুশ করে নিজের টিমকে বিজয়ী বানিয়েছেন তিনি। পূর্ব রেলের ক্রিকেট দলে খেলোয়াড় হিসেবে এজাজউদ্দিন নিজের দক্ষতা দেখিয়েছেন।
একদিকে, পুরুষদের মধ্যে জেলার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে পূর্ব রেলের ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়েছে আর অন্যদিকে অনূর্ধ্ব ১৯ বাংলা দলের সম্ভাব্যতালিকাতেও জায়গা করে নিয়ে সাড়া ফেলেছেন এই সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার। এজাজের বাবা আজিমউদ্দিন একটি সবজির আড়তে কাজ করেন।বড় দাদা ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক এবং মেজ দাদা মুদির দোকানের কর্মচারী। এজাজ এখন চাঁচল সিদ্ধেশ্বরি ইনস্টিটিউশনের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। প্রশিক্ষক থেকে প্রতিবেশী সকলেই প্রতিভাবান এই ক্রিকেটারের সাফল্য চান। চলতি বছর সিএবি পরিচালিত প্রথম ডিভিশনের ক্রিকেট লিগে পূর্ব রেলের হয়ে খেলবেন তরুণ এই ক্রিকেটার। এই সাফল্যে খুশি হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চাইছেন না এজাজউদ্দিন।তার লক্ষ্য ভারতের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলা।