রাজ্যের খবর

দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় রেমাল, আতঙ্কের প্রহর সুন্দরবনে

Cyclone Remal is approaching at a fast speed, panic in the Sundarbans

The Truth Of Bengal : সাগর :  দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় রেমাল! আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই আছড়ে পড়বে নয়া ঘূর্ণিঝড়। ফলে চিন্তায় ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর। তাঁদের কথায়, আবার একটা ঝড়, আবার ক্ষয়ক্ষতি!

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে প্রশাসন। বিশেষত, দুই চব্বিশ পরগনার সমুদ্র উপকূলবর্তী বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রেমাল’ সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে সুন্দরবন এলাকায় স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। অতীতে আমফান, আইলা, বুলবুল এর মত ঘূর্ণিঝড় চোখের সামনে দেখেছেন সুন্দরবনবাসী। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে প্রচুর। বাড়ি ভেঙে পড়েছে , নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রামে চাষের জমিতে ঢুকেছে নোনা জল। দিনের পর দিন গ্রাম ছেড়ে থাকতে হয়েছে বিধ্বস্ত এলাকার মানুষজনকে।

এখনও অনেকে আগের ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ। তারই মাঝে আবারও একটি ঝড়। ফলে চিন্তায় ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর। প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। রাতে ধীরে ধীরে তা উপকূলের দিকে এগিয়েছে। তেমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। রবিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সংলগ্ন উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ‘রেমাল’। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সোমবার এবং মঙ্গলবার লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। রবিবার সকাল থেকে উত্তাল বঙ্গোপসাগর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কাকদ্বীপ থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত ভেসেল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে পাশাপাশি নামখানাতেও ফেরী চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে মাইকিং। বর্তমান ঘূর্ণিঝড় রেমালের অবস্থান গঙ্গাসাগর থেকে ২১০ কিলোমিটার ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগর উপকূলে বইতে শুরু করেছে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকার সকল প্রকার ফেরী সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে পাঁচ মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাস। ব্লক প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দফায় দফায় এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বৈঠক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ত্রাণ শিবির খুলে রাখা হয়েছে। মাটির নদীবাঁধ গুলির ওপর নজর রাখছে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তিনটি দলকে পাঠানো হয়েছে।

Related Articles