৩৫৫-র ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো
Mamata Banerjee

The Truth of Bengal: সম্প্রতি মিটেছে পঞ্চায়েত ভোট।সেই ভোটকে সামনে রেখে বিরোধীরা রাজনীতির রব তুলছে,বলছে,বাংলায় সর্বত্র অশান্তি হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে, শুক্রবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিরোধীদের তুলোধনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃষ্টিভেজা অবস্থায় অনড়-অটল লড়াইয়ের সুর আরও চড়ান তিনি।তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রসঙ্গ উঠে আসে।কিভাবে ৩৫৫ধারা প্রয়োগের জন্য পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে,তা বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের ভিডিওয়ের কথা উঠে আসে মমতার বক্তব্যে। বলেন, বাম আমলে রাজনৈতিক পঞ্চায়েত তৈরি হয়েছিল।অনেক রাজ্যেই অরাজনৈতিক পঞ্চায়েত আছে। সেই পঞ্চায়েত ভোটে এবার কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটেছে।
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসাকে ‘সামাজিক সমস্যা’ বলেই দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতে ভোটে একই পরিবারের ৪ জন লড়েন। কখনও বাবা ছেলের বিরুদ্ধে। মা মেয়ের বিরুদ্ধে লড়েন। ঝগড়াঝাটি হয়। এটা আসলে সামাজিক সমস্যা।” বিজেপি পরিকল্পনা করে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে বলেই দাবি মমতার। তাই শান্তিপূর্ণভাবে বোর্ড গঠনের আরজি জানান তৃণমূল সুপ্রিমো।এই হিংসা কখনই কা্ম্য নয়,শান্তির বাংলার পরম্পরা বজায় রাখার কথা তৃণমূল কর্মীদের মনে করিয়ে দেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনী আবহে প্রাণহানিকে রাজনৈতিক বলে দাগিয়ে দেওয়া ঠিক নয় বলেই মত তাঁর। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে বোর্ড গঠনের আরজি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার দাবি, ৭১ হাজারের মধ্যে ৩টি বুথে অশান্তি হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, মুর্শিদাবাদের ডোমকল ও কোচবিহারে। হিংসার নেপথ্যে বিজেপি দায়ী বলেই অভিযোগ তাঁর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র, কারণ বাংলা ৫ বার পরপর প্রথম হয়েছিল। বাংলার পারফরম্যান্স এক নম্বরে। ৭ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। যারা কাজ করেছে, গরীব মানুষ, সেই টাকা তাদের টাকা দেওয়া হয়নি। তাই যড়যন্ত্রের রাজনীতির বিরুদ্ধে জনমত গড়ার পাশাপাশি,একশদিনের প্রকল্পের মতো বিকল্প প্রকল্পের কথাও উঠে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা।সেই প্রকল্পের নাম দেওয়া হচ্ছে খেলা হবে প্রকল্প।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের ‘নীতি আয়োগের তথ্য তুলে ধরে বুঝিয়ে দেন বিকল্প পথেই বাংলা সের।পরিসংখ্যানের মাধ্যমে তুলে ধরেন, পশ্চিমবাংলায় দারিদ্র্যতা ১১ শতাংশ কমেছে এক বছরে, ১০ বছরের হিসেব বলছে,দারিদ্রতা কমেছে ২৬ শতাংশ। কর্মসংস্থান ৪০ শতাংশ বাংলায় বেড়েছে, আর সারা ভারতে ৪৫ শতাংশ কমেছে।’