
The Truth of Bengal: ২০২২-এর ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচী ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিমপুর হাইকোর্ট মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনারপরই তার বিরোধীতায় পথে নামে জনজাতি সংগঠনগুলি। সেইসমস্ত ঘটনা থেকে সূচনা হয় সংঘাতের। এবার মণিপুরে জেলা পুলিশের সদরে চলে হামলা।
বৃহস্পতিব রাতেই চূড়াচাঁদপুরের দফতরে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের হামলা চলে। এই হামলার ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত অন্তত ৩০ জন। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের মতে প্রায় কয়েকশো দুষ্কৃতী সেখানে ছিল। সেইসব দুষ্কৃতীরা পুলিশ সুপারের দফতরে মোতায়েন জওয়ানদের উপর হামলা চালালেই বাঁধে সংঘর্ষ। এই হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখে মণিপুর পুলিশের এক জওয়ানকে শণাক্ত করা হয়েছে।
হামলাকারীদের ওই দলেই ওই জওয়ানের উপস্থিতি নিয়ে তৈরি হয় জল্পনা। ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। অন্যদিকে এই অশান্তি ঠেকাতে গত ৬ মে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। একাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হলেও এখনও হিংসা থামেনি। এখনও সেই রাজ্যে নিহতের সংখ্যা প্রায় ২০০। আহত হাজারেরও বেশি। ঘরছাড়া দুই জনগোষ্ঠীর ৬০ হাজারের বেশি মানুষ।