জঙ্গলরাজ চলছে বিহারে! JDU প্রার্থী গ্রেফতারির ঘটনায় মোদিকে কটাক্ষ তেজস্বীর
প্রধানমন্ত্রী কি চোখে কিছু দেখছেন না? তেজস্বীর অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিনই খুন, গুলি, অপরাধের ঘটনা ঘটছে।
Truth Of Bengal: বিধানসভা ভোটের আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিহারের রাজনীতি। জনসুরাজ সমর্থক দুলারচন্দ যাদব খুনের ঘটনায় জেডিইউ প্রার্থী তথা প্রভাবশালী নেতা আনন্দ সিং গ্রেফতার হতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে আরজেডি নেতা ও মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব বলেন,বিহারে এখন ‘মহা জঙ্গলরাজ’। প্রধানমন্ত্রী কি চোখে কিছু দেখছেন না? তেজস্বীর অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিনই খুন, গুলি, অপরাধের ঘটনা ঘটছে।
প্রধানমন্ত্রী পাটনায় রোড শো করছেন, অথচ রাজ্যজুড়ে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা ভয়াবহ। এটা যদি জঙ্গলরাজ না হয়, তবে কী?তিনি আরও বলেন, ১৪ নভেম্বর মহাগঠবন্ধন সরকার গঠন করবে। ১৮ নভেম্বর শপথ গ্রহণের পর আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যেই রাজ্যের সব অপরাধীকে জেলে ঢোকানো হবে। প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তেজস্বীর মন্তব্য, মোদিজি গুজরাতে কারখানা বানান, কিন্তু ভোট চান বিহারে। গত ১১ বছরে তিনি একটি চাকরিও দেননি। এখন বলছেন এক কোটি চাকরি দেবেন— এগুলো শুধুই লোকদেখানো প্রতিশ্রুতি।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে জনসুরাজ সমর্থক দুলারচন্দ যাদবের মৃত্যুর ঘটনায় জেডিইউ প্রার্থী আনন্দ সিংকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, গুলিতে মৃত্যু হয়েছে দুলারচন্দের। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রকাশ পায়, তাঁকে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে। এই রিপোর্ট সামনে আসতেই নতুন মোড় নেয় মামলা।রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই হত্যাকাণ্ডে বিহারের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাটির তদন্তভার ইতিমধ্যেই হস্তান্তর করা হয়েছে বিহার পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)-এর হাতে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও ঘটনার উপর নজরদারি শুরু করেছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভার্চুয়াল সভায় আরজেডি শাসনকালকে ‘জঙ্গলরাজ’-এর প্রতীক বলে কটাক্ষ করেন।
তিনি বলেন, এই নির্বাচন বিহারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে— একদিকে যারা জঙ্গলরাজ ফিরিয়ে আনতে চায়, অন্যদিকে আছেন মোদিজী ও নীতীশ কুমার, যারা উন্নয়নের পথে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এর আগে মুজফ্ফরপুরের সভায় তেজস্বী যাদব ও রাহুল গান্ধিকে আক্রমণ করে বলেন,দু’জন যুবরাজ তাঁদের রাজ্যকে দুর্নীতিতে ডুবিয়েছেন। একজন দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবারের যুবরাজ, অন্যজন বিহারের। উল্লেখ্য, বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা নির্বাচন হবে দুই দফায়। প্রথম দফা ৬ নভেম্বর আর দ্বিতীয় দফা ১১ নভেম্বর। ফল ঘোষণা ১৪ নভেম্বর। ভোটের ঠিক আগে এই হাইপ্রোফাইল গ্রেফতারির ঘটনায় রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।






