নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক! সুপ্রিম শুনানির আগেই দায়িত্ব নিলেন জ্ঞানেশ
Election controversy! Gyanesh takes charge ahead of Supreme Court hearing

Truth Of Bengal: তাঁর নির্বাচন ঘিরে বিতর্ক চলছেই। এই আবহে, জ্ঞানেশ কুমার বুধবার সকালে নতুন নির্বাচন কমিশনার পদে দায়িত্ব নিলেন। রাজীব কুমারের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। তিনি তাঁর চার বছরের কর্মজীবনের মেয়াদে রাজ্য ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন দুটোরই তত্ত্বাবধান করবেন।
জ্ঞানেশ কুমার ১৯৮৮ সালের প্রাক্তন আইএএস অফিসার ছিলেন। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলির মধ্যে ছিল জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করে বিলের খসড়া তৈরি করা।
দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর প্রথম ভাষণে জ্ঞানেশ বলেন, “জাতি গঠনের প্রথম পদক্ষেপ হল ভোটদান। অতএব, প্রতিটি ভারতীয় নাগরিক যাদের আঠারো বছর হয়েছে, তাঁদের উচিত প্রতিবছর ভোট দেওয়া। নির্বাচন কমিশন সবসময় ভোটারদের পাশে ছিল, আছে ও থাকবে।“
উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস তাঁর মনোনয়ন বাতিলের আবেদন জানায়। এই আবহের মাঝেই জ্ঞানেশের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসে। রাহুল গান্ধী কমিশনার নিয়োগ প্যানেলের তিন সদস্যের সদস্য ছিলেন। কিন্তু, কংগ্রেস নেতা তাঁর পরিবর্তে একটি বিকল্প প্রস্তাব দেন। যা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
মূলত বিতর্কটি হল বর্তমান কমিটিতে, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার একজন সদস্য (প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত), ও বিরোধী দলের নেতার সমন্বয়ে গঠিত – যা শাসকদলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার উপর আঘাত হানে।
মঙ্গলবার এক্স মাধ্যমে রাহুল গান্ধী এই নিয়োগকে ‘কেন্দ্রের মধ্যরাতের সিদ্ধান্ত’ বলে কটাক্ষ করেন। এছাড়াও, ভারতের প্রধান বিচারপতিকে অপসারণের ঘটনাকে সুপ্রিম কোর্টের ‘আদেশের লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেন।