রাজ্যের খবর

রাজ্যসভায় তৃণমূল প্রার্থী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়

Trinamool candidate for Rajya Sabha Ritabrata Banerjee

Truth Of Bengal: রাজ্যসভায় তৃণমূল প্রার্থী ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার শূন্য আসনে প্রার্থী হচ্ছেন ঋতব্রত। তৃণমূলের পক্ষ থেকে নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

আগামী ২০ ডিসেম্বর দেশের ছয়টি রাজ্যসভা আসনে উপনির্বাচন। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের একটি আসন। কয়েক মাস আগে তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার রাজ্যসভার সাংসদ পথ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। ওই শূন্য আসনে উপনির্বাচন হতে চলেছে।

এই শূন্য আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শাসক দল রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত। এর আগেও তিনি রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। তবে তখন তিনি ছিলেন বামফ্রন্টের পক্ষে রাজ্যসভার প্রতিনিধি। তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার পর ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব পান। রাজ্যের সমস্ত জেলায় ঘুরে ঘুরে সংগঠনকে সাজিয়ে তোলেন তিনি। শ্রমিক নেতা হিসাবে তার ব্যাপ্তি রাজ্য জুড়ে। তারই স্বীকৃতি মিলল দলের তরফে।

শনিবার সরকারিভাবে তৃণমূল কংগ্রেস এই রাজ্যসভার আসনে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করল। বিধানসভায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা নিরিখে এই আসনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণার পর দলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, সুবক্তা হিসেবে পরিচিত ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোচনায় সংসদে দাগ কেটেছেন। আবারো তিনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে নজর কাড়বেন। রাজ্যসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দল আরও শক্তিশালী হবে তাঁর উপস্থিতিতে।

এই আসনটি ধরে দেশের মোট ছয়টি আসনে উপনির্বাচন হবে। এরমধ্যে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের তিনটি আসন এবং হরিয়ানা, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের একটি করে আসনে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে আগেই। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট অনুযায়ী নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে আগামী ২০ ডিসেম্বর।

জহর সরকার রাজ্যসভা পদে অব্যাহতি দেওয়ার পর এই রাজ্যে একটি আসনে রাজ্যসভার ভোট হবে আগামী ২০ ডিসেম্বর। আগামী ৩ ডিসেম্বর নোটিফিকেশন প্রকাশিত হয়েছে। সেপ্টেম্বর ২০২৪ তৃণমূল কংগ্রেসের জহর সরকার রাজ্যসভা পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। আগামী ২ এপ্রিল ২০২৬ পর্যন্ত জহর সরকারের সাংসদ পদের মেয়াদ ছিল।

Related Articles