মানভূমে মনসার আরাধনা, পুরুলিয়ার লোকসংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে এই পুজো
The worship of Mansa in Manbhum, this puja has become part of the folk culture of Purulia

Truth Of Bengal: পুরুলিয়ার লোকসংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে মা মনসার পুজো।কৃষক থেকে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ মা মনসার আরাধনা করে। জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গেছে এই পুজো।দুর্গা পুজোর মতোই অলিগলিতে লৌকিক দেবীর পুজোপাঠ করা হয়।যারজন্য বাজারে কেনাকাটাও হয় দেদার।প্যান্ডেল,লাইট থেকে পুজোর উপকরণে বিশেষ জাঁকজমক দেখা যায়।
মনসা লৌকিক দেবী। গ্রামাঞ্চলেই মনসা পুজোর প্রচলন বেশি। জল, জমি, জঙ্গলে নিয়ে যাঁদের দিন কাটে,তাঁদের কাছে মনসা আরাধনার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। সাবেক মানভূমে একসময় বাস করতেন মূলত কৃষকরা। তাঁরা জমিদারদের জাঁকজমকপূর্ণ দুর্গাপুজোয় অংশ নিতে দ্বিধা করতেন।তাই তাঁরা লোকিক দেবী মনসাকেই পুজোপাঠ করেন। রাজ্যে যেভাব দুর্গা পুজো করা হয়,সেভাবেই পুরুলিয়া জেলায় পাড়ায় পাড়ায় দেখতে পাওয়া যায় মনসা পূজা। মা মানসার মূর্তি গড়ে করা হয় পুজো।সাধারণ মানুষ বিশেষ ভক্তিসহযোগে পুজো করেন।তাঁদের কাছে দেবী আরাধনার আলাদা আবেগ রয়েছে।
পুজোর আগের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় বাজারে ভিড়, পুজোর সামগ্রী, ফলের দোকানে ফল কেনার ভিড়। দেখা যায়, কাপড়ের দোকানে নতুন জামা কাপড় কেনার ভিড়। কথিত আছে একসময় একনিষ্ঠ শিব ভক্ত চাঁদ সদাগর,শিব ব্যাতিত মনসা পুজো করতে রাজি না হওয়ায় মনসা দেবীর ক্রোধে চাঁদ সদাগরের পুত্র লখিন্দকে বাসর রাতে স্বর্প দংশন করে।লক্ষীন্দরের স্ত্রী বেহুলা তার স্বামীর জীবন বাঁচাতে কঠিন তাপস্যা করেন এবং চাঁদ সদাগর মনসা পূজা করতে রাজি হলে মা মনসার আশীর্বাদে লক্ষীন্দরের জীবন বেঁচে যায়। সেই থেকে মনসা পূজা শুরু হয়। পুরুলিয়ার জেলবাসীরা জানায় পুরুলিয়ায় চারিদিকে পাহাড় জঙ্গল রয়েছে আগেকার দিনে এবং এখনো অনেকেই জঙ্গলে বিভিন্ন কাজে গিয়ে থাকে সেখানে বিষধর সর্পের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং মা মনসা কে সন্তুষ্ট করতে এই জেলায় মনসা পূজার প্রচলন রয়েছে।