ধর্ষণ-বিরোধী কড়া আইন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দ্বিতীয়বার চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
The Chief Minister has written to the Prime Minister for the second time asking for a strict anti-rape law

Truth Of Bengal : আরজি কর কাণ্ডের আবহে ফের একবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেন এই চিঠি? ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া আইন চাই’ এই দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু সেই চিঠির কোন সদুত্তর না পাওয়ায় শুক্রবার ফের একবার মোদিকে দু’পাতার একটি চিঠি লিখলেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেই চিঠিটি সমাজমাধ্যমেও পোস্ট করেছেন মমতা।
জাতীয় স্তরে বেড়ে গেছে ধর্ষণের মতো লজ্জাজনক বিষয়।উদ্বেগ বাড়িয়েছে নারী নিরাপত্তার মতো সংবেদনশীল বিষয়। ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য বলছে,সারা দেশে দিনে ৯০টির মতো ধর্ষণকাণ্ড ঘটে। সমাজের সেই সংবেদনশীল বিষয়ে দেশে কঠরোতম আইন পাস করার জন্য গত ২২ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন। চিঠিতে স্পষ্টতই তিনি উল্লেখ করেন,ধর্ষণের মতো নিন্দনীয় বিষয় রুখতে কঠোর আইন করা প্রয়োজন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন। জাতীয় স্তরের সেই জ্বলন্ত সমস্যা দূর করতে কেন্দ্র কী করেছে,তার সদুত্তর প্রধানমন্ত্রী না দেওয়ায় আবারও চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টতই উল্লেখ করেছেন যে,এখনও পর্যন্ত এই সংবেদনশীল বিষয়ে কোনও সঠিক উত্তর মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। বরং কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক, ২৫অগাস্ট এই বিষয়ে একটি চিঠি দেয়।
কিন্তু বিষয়ের গুরুত্ব ও সমাজের প্রাসঙ্গিকতা বুঝে যে চিঠি লেখা হয়েছিল সেই অনুযায়ী চিঠিটি গুরুত্ব পায়নি বলে প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গের কথা তুলে ধরতে গিয়ে রাজ্যের ধর্ষণরোধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তাও উল্লেখ রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর এই বিশেষ পত্রে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়েছেন,রাজ্যের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ফার্স্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট, ১০টি বিশেষ। পস্কো আদালত। রাজ্যের অর্থে ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ও ৬২টি পস্কোর মতো মর্যাদাপূর্ণ আদালত বাংলায় কাজ করছে বলেও মোদিকে মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মামলার দেখভাল ও দ্রুত রায়দানের প্রক্রিয়া জারি রয়েছে এইসব আদালতের হাতে বলেও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে রাজ্যে হেল্পলাইন চালু করার কথাও উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে। ১১২ ও ১০৯৮ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে পুলিশ যেকোনও মহিলাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এছাড়াও রাজ্য প্রশাসনের তরফে চালু করা ১০০ ডায়েলের মতো জরুরি পরিষেবাও যে নারী নিরাপত্তার সুবিধা করে দিচ্ছে তাও উল্লেখ করেছেন প্রশাসনিক প্রধান।
তাই বাংলার সরকার যেভাবে ধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধ রুখতে কঠোর পদক্ষেপ করছে,সেভাবেই কেন্দ্র যাতে কড়া আইন প্রণয়ন করার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত বিচার শেষ করতে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে আইনি সংস্থান তৈরি করার প্রস্তাবও দিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আসলে কেন্দ্রের ওপর চাপ তৈরি করলেন বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে এই ধরণের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনাপূর্ণ দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তাই দেশও দেশের নারী সমাজের জন্য সুরক্ষিত ভবিষ্যত গড়তে কেন্দ্রের এই বিযয়ে টনক নড়ে কিনা তাও লক্ষ্যণীয়।
- মোদিকে ফের চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
- ধর্ষণে কড়া আইন চেয়ে ফের চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রীকে
- আগের চিঠির উত্তর পাওয়া যায়নি
- নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিতে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
- রাজ্যের একাধিক পদক্ষেপ উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে
- নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকে চিঠি উত্তর নয়, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- ধর্ষণে কড়া আইন চেয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রীকে
- প্রথম চিঠির উত্তর না পেয়ে দ্বিতীয়বার চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী
- ধর্ষণ-বিরোধী কড়া আইন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী কে দ্বিতীয়বার চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
I have written this letter to the Hon’ble Prime Minister of India in connection with an earlier letter of mine to him. This is a second letter in that reference. pic.twitter.com/5GXKaX6EOZ
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 30, 2024