
The Truth of Bengal: কাউন্টডাউন শুরু। পুজোর আর ৭৭দিন। ঢাকের তালে মেতে উঠবে বাংলা। মুখর হয়ে উঠবে উত্সবের অঙ্গন।আনন্দের উত্সবের জন্য এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে।শিল্পী থেকে কারিগর,শ্রমিক থেকে শিল্পের জোগানদার, সকলেই সৃষ্টিশালায় মগ্ন,কিভাবে দুর্গাকে অভিনবত্বে ভরিয়ে তোলা যাবে। সুন্দরবনের দুর্গা,শ্যামলী,অনিতারা হাতের ছোঁয়ায় প্রতিমা আলাদা রূপ পেতে চলেছে।এখন কাঠের কাঠামোতে মাটি-খড় দিয়ে প্রলেপ দিচ্ছেন সুন্দরবনের জীবন্ত উমারা।
হাতের জাদুতে তাক লাগানোর চেষ্টায় তাঁরা। এক বছর-দুবছর নয়,গত ৩0-৩৫বছর ধরে প্রতিমায় কারুকার্য করে দর্শনার্থীদের মন ভরিয়ে চলেছেন এইসব বীরাঙ্গানা রা।এতদিন তাঁরা রাজ্যের মানুষকে দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা উপহার দিয়েছেন,এখন বাংলার বাইরের উত্সবপ্রেমীদের মন জয়ের জন্য কিছু অন্যরকম করার ভাবনায় হিঙ্গলগঞ্জের মহিলা শিল্পীরা।লাভ কম হলেও দুর্গা তৈরির নেশায় পেশাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁরা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, দিনে দিনে রং –খড় বা কাঠের দাম বেড়েই চলেছে। মনের মত প্রতিমা তৈরি করলেও মৃৎশিল্পীরা তার দাম পাচ্ছেন না।
উদ্যোক্তারা প্রতিমা পছন্দ হলেও দর কষাকষিতে প্রতিমার দর কমায়।তাই অর্থনৈতিক দিক দিয়ে কিছুটা মহিলা শিল্পীরা সমস্যায়। আগামীদিনে তাঁরা প্রতিমায় ভিন্নতার টাচ দেওয়ার চেষ্টাও চালাচ্ছেন। তাই শিল্পকর্মের অঙ্গন এখন এই উমাদের উত্কর্ষতায় ভরে উঠতে চলেছে বলাই যায়।মহিলা শিল্পীদের ফাইনাল টাচে দুর্গা প্রতিমা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে আশায় শিল্পের এই সাধকরা।শ্যাম বিশ্বাস।