
The Truth of Bengal: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময়ই গরিব নিম্নবিত্ত- মধ্যবিত্ত চাষীদের আর্থিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সব সময়ই সচেষ্ট ।রাজ্যের কৃষকদের জন্য চালু করেছেন কৃষক সহায়ক বিভিন্ন প্রকল্প ।অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে চলছে রাজ্য কৃষক বন্ধু প্রকল্প। সারা রাজ্যের কৃষকরা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত পাচ্ছেন এই প্রকল্পের টাকা। চিরাচরিত ধান চাষের সঙ্গে কিভাবে বিভিন্ন উন্নত মানের ফল,সবজি , ডালসহ অন্যান্য তৈল বীজ চাষ করে চাষীদের আয় বাড়ানো যায় সেই সম্পর্কে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দপ্তর। এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, ফুল চাষে প্রথম স্থানে আর সবজি ও ফল চাষে প্রথম কয়েকটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে। নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ এবং রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সহযোগিতায় রাজ্যজুড়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং বিদ্যালয় গুলি তে যেখানে জমি রয়েছে সেখানে উন্নত মানের ফলের গাছ এবং বিভিন্ন সবজি র কিচেন গার্ডেন তৈরি করছেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দপ্তর।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো ছাত্র-ছাত্রীদের ছোটবেলা থেকেই পরিবেশের গুরুত্ব বোঝানো। সবুজ গাছের প্রতি ভালোবাসা জাগানোর প্রচেষ্টা করা এছাড়াও তাদের নিজেদের পুষ্টিকর বিভিন্ন খাদ্যের যোগান দেবে এই গাছগুলি। বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের রান্না হবে ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষকদের নিজেদেরই উৎপাদিত সবজি ইত্যাদি দিয়ে। বিভিন্ন পুষ্টিকর ফলেরও যোগান দেবে এই কিচেন গার্ডেন। যা শিশুদের বৃদ্ধির জন্য খুবই কার্যকরী। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং বিদ্যালয়গুলির শিক্ষক- ছাত্র দের দেওয়া হচ্ছে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ। শেখানো হচ্ছে হাতে কলমে গাছ পরিচর্যার বিভিন্ন দিক। তাদের বোঝানো হচ্ছে পরবর্তীকালে যাতে তারাই করেন গাছের রক্ষণাবেক্ষণ। সর্বোপরি মিড ডে মিলে ব্যবহৃত নিজেদের পুষ্টিকর খাদ্যের যোগান তৈরি করবেন তারা নিজেরাই । অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ডক্টর সুব্রত গুপ্ত জানালেন এই মুহূর্তে দশ হাজার এই ধরনের কেন্দ্রে তাদের প্রশিক্ষণের কাজ চলছে । তিনি আশাবাদী যেসব বিদ্যালয়ে এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে জমি আছে সেগুলি র ১০০ শতাংশই এই প্রকল্পের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। এছাড়াও ঝারগ্রামে বিভিন্ন আশ্রমেও এই প্রকল্প এর কাজ চলছে যেখানে সহযোগিতা করছেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তর। এই সম্পর্কে বাংলা জাগোকে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বিশদে জানালেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত আই আই টি র প্রাক্তনী ,অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ডঃ সুব্রত গুপ্ত।
ডঃ সুব্রত গুপ্ত আরো জানালেন নদীয়ার আয়েশপুরে পিপিপি মডেলে একটি টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি কাজ শুরু করেছে। যেখানে স্থানীয় মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ৩০ লক্ষ উন্নত মানের কলা গাছের চারা উৎপাদিত হয়েছে যা রাজ্য জুড়ে বিনামূল্যে বিতরিত হবে এবং মাঠে কাজ শুরু হওয়া কালীন এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলে অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ডঃ সুব্রত গুপ্ত আশাবাদী। রাজ্যে এক সপ্তাহব্যাপী উদ্যান পালন সপ্তাহ পালন করা হবে বলে বাংলা জাগো কে জানালেন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব ডঃ সুব্রত গুপ্ত। ব্লক, মহকুমা এবং জেলা স্তরে এই উদ্যান পালন সপ্তাহ উদযাপন শুরু হবে ২২ আগস্ট থেকে। এক সপ্তাহ ধরে উদযাপনের অঙ্গ হিসাবে রাজ্যের মানুষকে দেয়া হবে বিনামূল্যে উন্নত মানের ফুল,ফল এবং সবজির চারা। অনুষ্ঠিত হবে সচেতনতামূলক আলোচনা চক্র। কেন্দ্রীয় স্তরের মূল অনুষ্ঠানটি হবে ২২ আগস্ট সল্টলেকের নলবন ফুড পার্কে সকাল সাড়ে এগারোটায়। থাকবেন দপ্তরের মন্ত্রী গোলাম রব্বানী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি ও আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আগামী দিনে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দপ্তর আরও একাধিক নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে।