
The Truth of Bengal: শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে গেল সপ্তম দফার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। পুরো সেপ্টেম্বর মাস ধরে চলবে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের শিবির। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই শিবির দুটি ধাপে করা হবে। প্রথম পর্ব চলবে ১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এবং দ্বিতীয় পর্বটি চলবে ১৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন, অক্টোবর মাসে পুজো আসতে আর বেশি দেরি নেই। সে কথা মাথায় রেখেই চলতি মাসেই রাজ্য সরকারের তরফে শুরু করে দেওয়া হল, সপ্তম দফার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত শিবিরগুলিতে রাজ্যের শহর থেকে প্রান্তিক স্তরের সাধারণ মানুষের তরফে ব্যাপক সাড়া মিলেছিল। চলতি দফার শিবিরে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে তফসিলি জাতি এবং উপজাতি–সহ এবার জেনারেল ক্যাটাগরির ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার বিষয়টির উপর।
শুক্রবার থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির শিবিরে বার্ধক্য ভাতার আবেদন জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবারই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদ্বী। সপ্তম দফায় দুয়ারে সরকারের শিবিরে মোট ৩৫টি সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা দেওয়া হবে। তার মধ্যে থাকছে, বার্ধক্য ভাতা, পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করা, উদ্যম পোর্টালে নথিভুক্তকরণ এবং হস্তশিল্পী ও তাঁতশিল্পীদের তালিকাভুক্ত করা। এই চারটি নতুন প্রকল্প যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান তাঁদের বয়স ৬০ বছর বয়স হলেই তা বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে পরিণত হয়ে যাবে।
যদিও পুরুষদের জন্য আলাদা করে এই সুবিধা থাকছে না। প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, গত শিবিরগুলির পর দেখা গিয়েছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার শুরুর আগে থেকেই ৬০ বছর অতিক্রান্ত হওয়া মহিলা বার্ধক্যভাতা পাচ্ছেন না। দুয়ারে সরকারের গত শিবিরগুলিতে এই সংক্রান্ত বহু আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু কোনও নথি জটিলতার কারণে, তা গ্রহণ হয়নি। এবারে সেই সমস্যা মেটাতে দুয়ারে সরকার শিবিরে বার্ধক্য ভাতার জন্য আলাদা কাউন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এবারে দুয়ারে সরকার শিবির নিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদ্বী বৃহস্পতিবার বলেছেন, আগেই তফসিলি জাতি এবং উপজাতির জন্য তফসিলি বন্ধু এবং জয় জোহার নামে বার্ধক্য ভাতা সর্বজনীন করে দেওয়া হয়েছে। এবার জেনারেল ক্যাটাগরির জন্যও তা করা হচ্ছে।