
The Truth of Bengal: বর্ধমানের কার্জনগেটের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আলাদা আবেগ। বর্ধমানবাসী বরাবরই স্থাপত্যের এই নিদর্শনকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। পরবর্তী সময়ে সেই কার্জনগেট আলোকউজ্বল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। রাজকীয় ছোঁয়ায় নির্মিত সেই কার্জনগেট এখন সর্বসাধরণের কাছে গর্বের স্থাপত্য হয়ে উঠেছে।কিন্তু বর্তমানে সেই কার্জনগেটে লালপতাকা লাগানোর জেরে তর্কের তুফান উঠছে। কারণ ১৯০৩সালে জিটিরোড ও বিসিরোডের সংযোগস্থলে এই বিশাল তোরণটি তৈরি করেন বিজয়চাঁদ মহাতব। ১৯০র্এ কার্জনের সফরের সময় এই তোরণটি কার্জন গেট নামকরণ করেন।
স্বাধীনতা-পরবর্তী যুগে, এর নামকরণ করা হয়েছিল ‘বিজয় তোরণ। কে বা কারা এই লাল নিশানে গর্বের স্থাপত্যকে রাজনীতির রং লাগালো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য তা অস্বীকার করছেন। তাহলে কার্জনগেটে লাল পতাকা লাগালো কে ? সিপএম না অন্যদল ? সেই বিতর্কের অবসান হচ্ছে না কিছুতেই। তৃণমূল কংগ্রেস বলছে,এটি দেউলিয়া রাজনীতির নিদর্শন। সিপিএম মুখে বামপন্থী বললেও তাদের মধ্যে কোনও বামপন্থী মূল্যবোধ নেই বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বিজেপিও রাজমহিমার অবমাননার তুমুল সমালোচনায়।৩৪বছরের গাজোয়ারির উদাহরণ তুলে ধরে গেরুয়া পার্টিও লাল ব্রিগেডের ঔদ্ধত্যকে চড়া সুরে আক্রমণ করেছেন। বর্ধমানবাসী মনে করছেন,পরম্পরা বা ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখার জন্য রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে সব মানুষের কাজ করা উচিত। যাঁরা এই ধরণের কাজ করতে চায় তাঁদের বোধদয় হোক বলে মন্তব্য করেছেন প্রবীণ নাগরিকরাও।