রাজ্যের খবর

কয়লা পরিবহণের সুবিধার্থে রেল করিডর, বাংলার প্রকল্পে ঢিলেমি কেন,উঠছে প্রশ্ন ?

Rail corridor to facilitate coal transportation, why laxity in Bengal project, the question is raised?

The Truth of Bengal : রেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরকে এখন অবহিলেত,উপেক্ষিত করে রাখা হয়েছে। সাধারণ বাজেটের সঙ্গেই রেলের ব্যয়বরাদ্দের হিসেব দেওয়া হয়। যদিও এবারের বাজেটে যাত্রী নিরাপত্তার কোনও উচ্চবাচ্চাই করা হয়নি।বলছে বিরোধী শিবির। যেখানে বাহানাগা থেকে জলপাইগুড়ির মতো ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে সেখানে কেন  কবচের কার্যকারিতা বাড়ানো হচ্ছে না তা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে।একইসঙ্গে বাংলার একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়েও কেন কেন্দ্র নীরব সেকথাও উঠে আসছে।বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শুরু করা নানা প্রকল্প রূপায়ণে বিলম্ব দেখে ক্ষুব্ধ বিরোধীরা।

তার মাঝে রেল দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসানসোল থেকে তেলাঙ্গনার ওয়ারাঙ্গলের যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য তৈরি করা হবে রেল করিডর। মূলতঃ কয়লা নিয়ে যাওয়ার জন্য এই করিডর ব্যবহার করা হবে।এছাড়াও  যাত্রি পরিবহণের ট্রেন  এই করিডরের মাধ্যমে যাতায়াত করবে বলে জানা যাচ্ছে।। সেই লক্ষ্যে গুনপুর-থেরুবালির মধ্যে নতুন লাইন চালুর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।  লাইনটি জুনাগড়-নবরংপুর এবং মালকানগিরি-পান্ডুরংপুরমের উপর দিয়ে যাবে। অশ্বিনী  বৈষ্ণো দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং উড়িষ্যাও এই করিডরে উপকৃত হবে  বলে দাবি মোদি সরকারের মন্ত্রীর।

কিন্তু বিরোধী শিবিরের প্রশ্ন, নতুন প্রকল্প রূপায়ণ তো দূর অস্ত,পুরনো প্রকল্পও ঝুলে রয়েছে। এই অবস্থায় আগামীদিনে জাতীয় স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য  অবহেলিত এলাকার রেল প্রকল্প সম্প্রসারণও পুরনো প্রকল্প শেষ করার দাবি রাখতে চায় বিরোধীরা। সংসদে বাজেট অধিবেশন চলছে। ১২অগাস্ট পর্যন্ত অধিবেশন চলার কথা। এরমধ্যে কেন্দ্র রেল প্রকল্প শেষ করার কাজে এগিয়ে না এলে বিরোধীরা যে আগামীদিনে সরব হতে চায় তা স্পষ্ট করেছে। বিরোধীরা চায়, রেল মন্ত্রী চমক  দেওয়ার পথ ছেড়ে গণপরিবহণের লাইফলাইনের ভিত শক্ত করুক। সার্বিক রেলপথের বিকাশের জন্য নিরাপত্তা থেকে যাত্রী পরিবহণকে ঢেলে সাজানোর দাবিতে আগামীদিনে বিরোধীরা সোচ্চার হতে চায়।