রাজ্যের খবর

ছোটবেলাকে আবার ফিরে পাওয়া, হারিয়ে যাওয়া পুতুল নাচ মন কাড়লো সুন্দরবনবাসীর

Puppetry dance

The Truth of Bengal: পুতুল খেলার পরিচিত অভ্যেস থেকেই বাংলায় জাঁকিয়ে বসেছিল পুতুল নাচ শিল্প। শোনা যায়,  ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের বিপিন পালের হাত ধরে ভারতে যাত্রা শুরু হয় লোকনাট্যের এই প্রাচীন শিল্প মাধ্যম পুতুল নাচের। সামাজিক বিভিন্ন বিষয়, পালাগান, পৌরাণিক কাহিনি এসবই ছিল পুতুল নাচের ভিত্তি। ফলে তা সহজেই মানুষের মনকে ছুঁয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে।  এক সময় প্রাচীন সংস্কৃতি এই পুতুল নাচ বাংলার মানুষের মননে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ছিল। বর্তমানে আধুনিক সভ্যতায় ডিজিটাল মাধ্যমের যুগে  হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার এই প্রাচীন সংস্কৃতি। প্রাচীন পুতুল নাচকে সামনে রেখে গ্রামের মধ্যে আসর বসলো পুতুল নাচের।

একদিকে সামাজিক শিক্ষা অন্যদিকে শিশু মনের বিকাশ ঘটাতে পুতুল নাচ যা রয়ে গেলো সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের মননে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সন্দেশখালীর এক নম্বর ব্লকের, আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ নলগরা গ্রামে পুতুল নাচের আসর বসে। সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষরা বিনামূল্যে এই পুতুল নাচ উপভোগ করেন। নবদ্বীপের গিরিধারী পুতুল নাচ দলের পরিবেশনায় ‘রাজা হরিশচন্দ্র পালা’ অনুষ্ঠিত হয়। আর এই উপলক্ষে অনেক বছর পর গ্রামে বসেছে মেলা। ছোটবেলাকে ফিরে পেয়ে খুশি এলাকার বয়স্করা। রংবেরঙের পুতুলের নাচ সেইসঙ্গে বাদ্যযন্ত্রের শব্দ, আলোর ঝলকানিতে নলকরা গ্রাম হয়ে উঠে পুতুল নাচের কেন্দ্রবিন্দু।

আর এই দেখতে ভিড় জমাচ্ছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা। বর্তমানে পুতুল নাচের শিল্পীরা জীবন জীবিকার টানে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে। নতুন প্রজন্মের কাছে পুতুল নাচ একেবারে অভিনব।মোবাইল ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ যুগে আজ ঘরবন্দি মানুষ। তাই খোলা আকাশের নিচে সবাই একসঙ্গে বসে পুতুল নাচের রাজা হরিশচন্দ্র পালা দেখে রীতিমতো খুশি উত্তর ২৪ পরগনার বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক প্রদীপ্ত সরকার।আগামী প্রজন্মের কাছে এই পুতুল নাচ দিনে দিনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই গ্রামবাংলায় পুতুল নাচ আবার পূর্বের জনপ্রিয়তায় ফিরে আসুক, একই সঙ্গে  মানুষের মননে ও শিশু মনের বিকাশ ঘটাতে সুন্দরবন স্পোটিং ক্লাবের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় বিশিষ্টওজনেরাl

Related Articles