
The Truth of Bengal: শ্রাবণ মাস শেষ হতে চলল। দেখা নেই রুপোলি শস্যের। এখন ভাদ্র মাসই ইলিশের জন্য ভরসা মৎস্যজীবীদের, ভোজনরসিকদেরও। মৎস্যজীবীরা আশা করেছিলেন, জুলাইয়ের মাঝামাঝি যত ইলিশ উঠেছিল, তার চেয়ে আগস্টের গোড়ায় ইলিশ মিলবে আরও বেশি। কারণ, জুলাইয়ের মাঝামাঝি অমাবস্যা কোটালে ইলিশ উঠেছিল আর আগস্টের ১ তারিখ ছিল পূর্ণিমা। অমাবস্যার কোটালের দ্বিগুণ- চার গুণ বেশি ইলিশ পূর্ণিমা কোটালে পাওয়া যায়, এমনটাই পেয়ে এসেছেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু পূর্ণিমা কোটাল এক রকম খালি হাতে ফেরাল তাদের। নিম্নচাপ ও খারাপ আবহাওয়া এর অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা।
নামখানা ঘাটে ফেরা মৎস্যজীরা জানাচ্ছেন, খারাপ আবহাওয়া কাটার পর সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ উপেক্ষা করেই গভীর সমুদ্রে একাধিক বার জাল টেনেছেন। ভারত-বাংলাদেশ জল সীমান্তেও ইলিশের ঝাঁকের কোন দেখা পাননি। সমুদ্র উত্তাল থাকায় পমফ্রেট, ভোলা, ম্যাকরেল-সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ পর্যাপ্ত পরিমাণে জালে উঠলেও জালে ওঠেনি ইলিশ। আশাভঙ্গ হয়েছে সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগর ও রায়দিঘি এলাকার মৎস্যজীবীদের। খারাপ আবহাওয়াকেই ভিলেন বলে চিহ্নিত করছেন তারা। নিম্নচাপ ও খারাপ আবহাওয়ার জেরে বেশ কিছুদিন সমুদ্রে যেতে পারেনি বহু ট্রলার।
খারাপ আবহাওয়ার রেশ কাটিয়ে সপ্তাহ খানেক আগে ইলিশ ধরতে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। ফিরে এসেছেন একপ্রকার খালি হাতেই। বর্ষার মরশুমে ইলিশ বেশি ধরা পড়লে বছরের বাকি ৮ মাস মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিকদের বাড়তি সুরাহা হয়। ইলিশ ধরতে যাওয়ার প্রত্যেক ‘ট্রিপ’-এ জ্বালানি তেল, বরফ, মৎস্যজীবীদের খাবার নিয়ে খরচ পড়ে ১ লক্ষ টাকার বেশি। আগের তুলনায় ট্রলারের খরচ এখন অনেক বেড়েছে। কিন্তু রূপোলি শষ্যের দেখা না মেলায় চরম হতাশায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার মৎস্যজীবীরা।