
The Truth of Bengal: বিফলে যায়না পুত্রসন্তান লাভের মনস্কামনা। আর এই বিশ্বাসেই ষড়ানন রূপে পুজো হয়ে আসছে কার্তিকের। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে কার্তিক পুজোর ব্যাপ্তি। দুর্গাপুজো, কালীপুজো শেষ হলেও চলছে উৎসবের মরসুম। জগদ্ধাত্রী পুজো আসন্ন। তার আগে কার্তিক পুজো নিয়ে উৎসাহ। রীতি বিশ্বাস অনুযায়ী পুজো হয়ে আসছে মালদার হবিবপুর ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামে। এই গ্রামে দেব সেনাপতিকে ষড়ানন রূপে পুজো করা হয়।
স্থানীয়দের বিশ্বাস, ষড়াননরূপী এই কার্তিক ঠাকুরের কাছে পুত্রসন্তানের মনস্কামনা করলে পূরণ হয়। তাই স্থানীয়রা ছাড়াও জেলা ও জেলার বাইরে থেকে বহু ভক্ত এখানে পুজো দিতে আসেন। পুত্র সন্তানের বয়সী ঠাকুর দান করার রেওয়াজ রয়েছে। তাই বড় কার্তিক মূর্তির সঙ্গে শিশু থেকে কিশোর বয়সের ছোট ছোট কার্তিক ঠাকুরের পুজো হয়।হবিবপুর ব্লকের ঋষিপুর পঞ্চায়েতের দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের কার্তিক পুজো এই বছর ৬৫তম বর্ষ পড়ল। গ্রামের কয়েকজন যুবক মিলে পুজোর সূচনা করেছিলেন। তখন থেকেই শুরু হয় এই পুজো। এখানে দেব সেনাপতির ৬ মাথা ও ১২ হাত।
পুরাণে কথিত আছে, জন্মের পর ৬ জন কৃত্তিকা কার্তিককে লালন করেছিলেন। তাঁদের মনস্কামনা পূরণের জন্য কার্তিক ৬ মাথার রূপ ধারণ করেন। সেই থেকে কার্তিকের আর এক নাম ষড়ানন। প্রতিবছর এই পুজোয় বহু ভক্তের সমাগম ঘটে। পুজো ছাড়াও ১০ দিনব্যাপী চলে বিশাল মেলার আসর। সঙ্গে রীতি মেনে আলকাপ গানের আসর বসে। থাকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বস্ত্র দানের আয়োজন।
Free Access