রাজ্যের খবর

মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরেও বেআইনি পুকুর ভরাট, আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সরব বিধায়ক

Illegal filling of ponds despite Chief Minister's strict instructions

The Truth of Bengal: বিএলআরও-র অফিসের নাকের ডগায় কিভাবে চলছে পুকুর ভরাট ? কিভাবে অসাধু চক্র এই দুঃসাহস পাচ্ছে। এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। এবিষয়ে বিধানসভায় সরব হবেন বলে স্পষ্ট করে দেন অসিত মজুমদার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমি জবরদখল বা পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরেও কিভাবে এই বেআইনি ভরাট হচ্ছে তা নিয়েও বিধায়ক সরব।

বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট করা চলবে না।বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় সজাগ প্রশাসন। জলাভূমি ভরাট করলেই নেমে আসবে শাস্তির কোপ। বিএলআরও ও রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের এই জিরো টলারেন্স বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ৪১৬ জন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসার এবং মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসার  কে রদবদল করে নবান্ন। কয়েক জনের বদলি পুরোপুরি শাস্তিমূলক। তারপর রাজ্যের  ৭২ জন রাজস্ব আধিকারিককেও  বদলি করে দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।তারপরেও বিএলআরও অফিসারদের একাংশের প্রশয়ে  পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠছে।।এই অবস্থায় চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার অভিযোগ পেয়েই সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন। তিনি যান, ৩ নম্বর ওয়ার্ড। বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন,বিএলএআরও-র অফিস যেখানে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে,সেখানে কীহবে এই বেআইনি ভরাট চলছে ?

পরিবেশ বাঁচাতে রাজ্য সরকার বরাবরই সংবেদনশীল ভূমিকা পালন করছে। এরমধ্যে,নবান্ন বিএলআরও-দের কড়া বার্তি দিয়ে রেখেছে, অভিযোগ পাওয়ার পরেও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকরা কোনও পদক্ষেপ না করলে তাদেরকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। অন্যায়ভাবে কেউ জমির চরিত্র বদল করলে  কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোথাও বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে জেলা এবং ব্লক আধিকারিকরা নজরদারি  বাড়িয়েছেন। এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝাঁকুনির পর চুঁচুড়ার বিএলআরও- কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে এগিয়ে আসে কিনা তা দেখতে চান বিধায়ক।না হলে তিনি নিজেই বিধানসভায় এই ইস্যুতে যে মুখর হবেন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিধায়ক অসিত মজুমদার।

Related Articles