
The Truth of Bengal: এই কান্না এতদিনের সব সঞ্চয় হারানোর কান্না। মাত্র একটা ফোনেই সব হারাল একটি পরিবার। আবার অনলাইন প্রতারণার শিকার। ইলেকট্রিক বিল পেমেন্ট করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার তথ্য সংস্কৃতি দফতরের অস্থায়ী সঙ্গীতশিল্পী। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া গেল ৮ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। সব সঞ্চয় হারিয়ে পরিবারকে নিয়ে অথৈ জলে পড়লেন দক্ষিণ ২৪ পরনার নোদাখালির ওই শিল্পী। বজবজ ২ নম্বর ব্লকের নোদাখালি থানা এলাকার রায়পুরের বাসিন্দা কল্যাণ দাস পেশায় একজন সঙ্গীতশিল্পী। তিনি তথ্য সংস্কৃতি দফতরের অস্থায়ী সঙ্গীতশিল্পী হিসাবেও সঙ্গীত পরিবেশন করেন। কল্যাণ দাসের অভিযোগ, গত ৪ নভেম্বর তার কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে বলা হয় বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে।
বিল পেমেন্ট না করলে তাদের বাড়ির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। পরের দিন ৫ তারিখ তিনি সেই নম্বরে ফোন করে বিল পেমেন্ট করার কথা বললে তাঁকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। তারপর তিনি তার সমস্ত তথ্য দেওয়ার পর একটি ওটিপি শেয়ার করেন। আর সেটা করতেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা এবং পরে দুটি ফিক্সট ডিপোজিট থেকে দেড় লক্ষ ও ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৬০০ টাকা ডেবিট হয়। অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৮ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।
তড়িঘড়ি তিনি সাইবার ক্রাইম থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে স্বামী ব্যাঙ্কের তথ্য দিতেই সব সঞ্চয় শেষ। সব হারিয়ে এখন কান্নায় ভেঙে পড়েছেন শিল্পী কল্যাণ দাসের স্ত্রী সমাপ্তি দাস।প্রতারকরা কী ভাবে এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদ পাতে? কী ভাবে সেই প্রতারণার হাত থেকে বাঁচা যায়। বহু মানুষ সচেতন হয়েছে। আবার অনেকেই এখনও বুঝে উঠতে পারছেন অনলাইনে কী ভাবে প্রতারণার জালা বিছিয়ে রাখা আছে। জীবনের শেষ সঞ্চয়টুকু হারানো শিল্পী কল্যাণ দাস তাদেরই একজন। প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচতে সচেতন হওয়া ছাড়া উপায় নেই।