মকর সংক্রান্তিতে ‘মিনি ভারত’ হয়ে উঠেছে গঙ্গাসাগর
Gangasagar becomes 'Mini India' on Makar Sankranti

Truth Of Bengal: কপিল মুনির আর্শীবাদ ধন্য গঙ্গাসাগরে ডুব দিতে এসেছেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। রবিবার থেকেই সাগরতট সরগরম। ধর্ম বিশ্বাসী মানুষ মনে করেন, সাগরে মকর সংক্রান্তিতে স্নান করলে পুণ্য লাভ হবে। ইহলোকের পবিত্র কর্ম থেকে পুণ্য সঞ্চয় করার জন্য প্রতিবছরই অসংখ্য ভক্ত আসেন দক্ষিণ ২৪পরগনার এই সাগর সঙ্গমে। এবার কুম্ভমেলা থাকায় ভিড় কিছুটা কম হবে বলে ধরে নেওয়া হলেও মানুষের জনসমুদ্র জানান দিচ্ছে,গঙ্গাসাগর মিনি ইন্ডিয়ার মিলনক্ষেত্র।সোমবারই ঢল নামে পুণ্যার্থীদের।কেউ এসেছেন রাজস্থান,কেউ এসেছেন বিহার-উত্তরপ্রদেশ থেকে,কেউ আবার তামিলনাড়ু বা মহারাষ্ট্র থেকে।ঐক্যের সুরে সুর বাঁধতে নানাভাষাভাষি মানুষ এই ইতিহাস আর আধ্যাত্মিকতার সঙ্গম স্থলে এসে মিলিত হয়েছেন।ভাষার বাধা দূর করতে প্রশাসন,বাস সহ নানা যানবাহনে নিয়োগ করে সাগরবন্ধু।যাঁরা বাংলার বাইরে থেকে আসা মানুষদের পরম বন্ধুর মতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।জাতীয় স্তরের জনপ্রিয় এই গঙ্গাসাগর মেলা গণ-উত্সবে পরিণত হওয়ায় তা যে আলাদা মাত্রা পেয়েছে তা বাংলা জাগোর ক্যামেরাতেও ধরা পড়ে।
মহারাষ্ট্র থেকে আসা ভক্তরা বলছেন,দেশের আর পাঁচটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা মেলাকে ছাপিয়ে যেতে বসেছে বাংলার এই পবিত্র মেলা।
শুধু পশ্চিমভারতের মহারাষ্ট্র নয়, মরুরাজ্য রাজস্থান বা হিন্দিবলয়ের হৃদয়পুর বলে পরিচিত বিহার-উত্তরপ্রদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষও রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনা দেখে অভিভূত। দরাজ প্রশংসা করছে মেলা কমিটির তদারকি দেখে। নিরাপত্তা সহ সামগ্রিক ব্যবস্থা যে জাতীয় স্তরের অন্য মেলার কাছে মডেল হতে পারে তাও অভিজ্ঞতার নিরিখে বলছেন,এইসব পুণ্যার্থীরা।
প্রশাসন জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪২ লক্ষের অধিক মানুষ গঙ্গাসাগরে এসেছেন। মঙ্গলবার আরও বহু মানুষ এই মকর সংক্রান্তির স্নান উপলক্ষে মেলায় যোগ দেন । গঙ্গাসাগর মেলা চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে ১২হাজারের বেশি পুলিশ। এ ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে সিসিটিভি ক্যামেরা যেমন বসানো হয়েছে, তেমনই মেগা কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে কলকাতার আউটট্রাম ঘাট থেকে গঙ্গাসাগর মেলা পর্যন্ত নজরদারি চালানো হচ্ছে।