চোরাশিকারীদের হাতে বনদফতরের কর্মী খুন, মাথায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত, তদন্তে পুলিশ
Forest department worker killed by poachers in Sundarbans

The Truth of Bengal: সুন্দরবন বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে যে দ্বীপ স্বকীয় ঐতিহ্য নিয়ে আলাদা জায়গা দখল করে আছে।এই দ্বীপে প্রায়শই জলদস্যুদের হানা দেখা যায়। সেই জলদস্যুদের বেপরোয়া গুলিতে আবারও এক বনকর্মীর প্রাণ যাওয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় রুটিনমাফিক বোট নিয়ে এলাকায় টহলদারিতে বের হয়েছিলেন বনকর্মীরা। তখন নেতাধোপানি ক্যাম্প এলাকার জঙ্গলে হরিণ শিকারীরা তাঁদের মুখোমুখি পড়ে যায়। রাতের অন্ধকারে কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁদের লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি চালাতে শুরু করে ওই চোরা শিকারির দল।
শুরু হয় দুই পক্ষের লড়াই। চোরাশিকারীদের একটি গুলি লাগে বন কর্মী অমলেন্দু হালদারের শরীরে। গুলির আঘাতে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যু হয়। শুধু গুলি নয়,তাঁর মাথায় কুড়ুলের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। অনুমান করা হচ্ছে গুলিতে নিহত হওয়ার পর অমলেন্দু হালদারকে কুড়ুল দিয়েও আঘাত করে ওই চোরাশিকারি দল। নিহত বনকর্মীর দেহটি উদ্ধার করে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় আনা হয়। জানা গেছে, মৃত বনকর্মীর সঙ্গে ছিলেন আরও ৩ বনকর্মীও বোটের ২ কর্মী।
এই ঘটনার পর দুষ্কৃতীদের খোঁজে জঙ্গলে শুরু হয় তল্লাশি। যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব বেশি নয়। ফলে ওই চোরশিকারিরা ভারতের না বাংলাদেশের তা জানার চেষ্টা করে প্রশাসন। হামলা চালিয়ে ওই চোরাশিকারীরা কোথায় পালিয়ে গিয়েছে তা নিশ্চিত হতে গোটা এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি শুরু হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) দেবল রায় বলেন, আমাদের একজন কর্মী মারা গিয়েছেন, বাকিরা ফিরে এসেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশি জলদস্যুরা যুক্ত আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।