রাজ্যের খবর

বৃষ্টির অভাবে আমের বৃদ্ধিতে ঘাটতি, মুকুলের আকাল থাকায় ফলন কমের আশঙ্কা

Due to the lack of rain, the growth of mangoes is short, and there is a risk of yield loss due to bud starvation

The Truth of Bengal: আম খান না এরকম বাঙালি খুঁজে পাওয়া বড় মুশকিল। গৌতম বুদ্ধ, সম্রাট আলেকজান্ডার, মুঘল সম্রাট আকবর, গান্ধীজি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মনিষীরাও আমবিলাসী ছিলেন। রবি ঠাকুর নাকি পাতলা বালদোর ছুরি দিয়ে নিজের হাতে আমের খোসা ছাড়িয়ে অতিথিকে পরিবেশন করতেন, সেই গল্পও শোনা যায়। নবাব-রাজাদের অন্দরমহলে আমের বাহার ছিল বেশ। বাঙালির শাস্ত্রাচার, লোকাচার, শিল্পেও প্রভাব ফেলেছে। যাঁরা আম খান তাঁরা সবার আগে মালদার আম খোঁজেন। কারণ তাঁরা জাতের আমেই স্বাদপূরণ করতে চান। এরমধ্যে মালদার লক্ষ্ণণভোগ,ফজলিও হিমসাগর জিআই ট্যাগ পাওয়ায় বাজারে এইসব আমের কদর এমনিতেই রয়েছে। এই অবস্থায় রসিকজনদের স্বাদের বাহার বাড়াতে আমে বৈচিত্র্য আনা হচ্ছে।এখন মালদায় চাষ হচ্ছে মিয়াজকি আম। কিন্তু হরেক আমের বিলাসী –বাগানে এবার  মুকুল ধরেছে কম। মুকুলের আকাল থাকায় আশঙ্কা ফলন কম হবে। অন্ততঃ ৫০শতাংশ ফলন কম হতে পারে বলে আশঙ্কা।

আমের লালনপালন কি করে  হবে তাই নিয়ে আশা-আশঙ্কার দোলাচলে আম চাষি থেকে আম ব্যবসায়ী।  যেসব ব্যবসায়ী আগে থেকেই আম বাগানের লিজ  নিয়েছেন কৃষকদের কাছ থেকে তাঁদের অবস্থা সবথেকে সমস্যার। আমের পর্যাপ্ত ফলন না হলে লোকসানের মুখে পড়বেন আম ব্যবসায়ীরা।মালদা জেলা উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আবহাওয়ার খামখেয়ালির কারণে চলতি মরশুমে মালদার আমের ফলনে ঘাটতি হয়েছে।

টানা খরার জন্য অধিকাংশ আম গাছ শুকিয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির অভাবে আমের বৃদ্ধিতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ বাগানে আমে কীটপতঙ্গের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমস্ত কারণের জন্য এই বছর আমের ফলনে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। উদ্যানপালন দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মরশুমে প্রায় দুই লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টন আমের ফলন হতে পারে। গতবছর মালদায় আমের ফলন হয়েছিল তিন লক্ষ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। সেই তুলনায় এই মরশুমে অনেক কম আমের ফলন হবে।

Related Articles