মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও নিয়ন্ত্রণে আসছেনা পণ্যের দাম, খতিয়ে দেখছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন
Cooch Behar district administration is looking into the prices of products are not coming under control even after the Chief Minister's order on price hike

The Truth Of Bengal : কোচবিহার: টানা বেশ কয়েকদিন প্রবল বৃষ্টির জেরে কৃষিজমি গুলো চলে গেছে জলের তলায়। যার ফলে বাজারে কাঁচা শাক সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর জেলা প্রশাসনের তরফে একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে আনার কথা ব্যবসায়ীদের বারংবার বলা সত্ত্বেও দাম কমছে না কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারে। বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, সমস্ত সবজি প্রায় ৮০ টাকা কেজি উপরে চলে গেছে। যেগুলো বাইরে থেকে আমদানি করা হয় সেই সবজিগুলো দাম অনেকটাই বেশি। এক ক্রেতা জানান, সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া হয় হেঁসেলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যাগ ফাঁকা নিয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মোদি সরকারের আমলে আরও মূল্যবৃদ্ধি। আগুন দামে দেশবাসীর নাভিশ্বাস দশা। বিশেষ করে, শাকসব্জি, ডাল,খাদ্যশস্য, ফলের দাম দারুণভাবে বেড়েছে। যার জন্য দিন আনি দিন খাই মানুষগুলোর ভয়ঙ্কর অবস্থা। আমজনতা বলছেন,এত দাম খাব কী ? বিজেপি সরকারের ভ্রান্ত নীতিকে দুষছে বিরোধীরা।কারণ আবারও পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। জুনমাসে পাইকারি মূল্য সূচক দাঁড়িয়েছে ৩.৩৬শতাংশে।মে মাসে যেখানে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ২.৬শতাংশ। জুনে খাদ্যপণ্যের পাইকারি দাম বেড়ে গিয়েছে প্রায় ১১% । শুধু পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৯৩.৩৫%। এ ছাড়া, ৬৬.৩৭% বেড়েছে আলুর দাম, আনাজের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৩৮.৭৬%।বাজারের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জুনমাসে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ০.৪শতাংশ। খাদ্য সূচক যেখানে বেড়েছে ২.৫শতাংশ।গত মাসে চাল,ডালও আনাজের আগুন দামের ধাক্কায় খুচরো মূল্যবৃদ্ধিও আবার ৫ শতাংশের উপরে উঠেছে। তার ৫.০৮% হার চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার পেরিয়ে গিয়েছে ৯%। কেন্দ্রীয় সরকার পাইকারি মূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারায় বাজারে গিয়ে আমজনতাকে আরও বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। পকেট ফাঁকা হওয়ার জোগাড় সাধারণ মানুষের। ফলে আগামী দিনে ডাল, আনাজ ইত্যাদির আরও দাম বৃদ্ধির আশঙ্কাও থাকছে। কাজেই খুচরো বাজারে ক্রেতাদের ভোগান্তির দিন এখনও শেষ হয়নি বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। তাই এই জনস্বার্থবাহী ইস্যুতে আগামীদিনে সংসদে বিরোধীরা সরব হতে চায়।কেন পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে ? কেন কেন্দ্র আন্তঃরাজ্য পণ্য পরিবহন বা সামগ্রীর সরবরাহে সমান গুরুত্ব দিচ্ছে না,পুরো বিষয়টি বিরোধীরা সংসদে তুলে ধরতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।জনতার আঁচ গণতন্ত্রের মন্দিরে উঠে আসবে সংসদের বাজেট অধিবেশনে।২২জুলাই শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। সেই অধিবেশনে এই হট টপিক নিয়ে শোরগোল যে পড়বে তা বলাই যায়।