রাজ্যের খবর

মোবাইল নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত, শালিমারে পুলিশি ধরপাকড়, গ্রেফতার ২

Confusion started over mobile phone, Police nabbed Shalimar, arrested 2

Truth of Bengal: উৎসবের মাঝেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার শালিমার। মোবাইল নিয়ে গন্ডগোলের জেরে শনিবার সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে,জানিয়েছেন হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল সুবিমল দাস। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়ানো হয়েছে স্টেশন এলাকায় কড়া নজর। রবি ও সুলতান নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশ।

শনিবার রাত তখন ৮টা। শালিমার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা যায়। ইটবৃষ্টি,দোকান ভাঙচুরের মতো ঘটনা সামনে আসে। সংঘর্ষের জেরে আতঙ্ক ছড়ায় স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বি গার্ডেন থানা ও হাওড়া সিটি পুলিশের বিশাল বাহিনী পথে নামে। পরে নামানো হয় র‍্যাফ। কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। রাতে ঘটনাস্থলে যান হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল সুবিমল পাল।

রবিবার সকালেও দেখা যায় পরিস্থিতি থমথমে। দোকানপাট খোলা থাকলেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। কয়েক মাস আগেই এই এলাকায় পার্কিং নিয়ে বচসাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল শালিমার স্টেশন চত্বর। আবারও সেই এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় পুলিশ কড়া নজরে রাখে এলাকাশুনশান রাস্তাঘাটে চলে পুলিসি টহল। যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না তৈরি হয় সেজন্য বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

ডিসি সেন্ট্রাল সুবিমল দাস বলেন, একটি মোবাইলের দোকানে কোনও একটি বিষয় নিয়ে বিবাদ বাধে। সেই বিবাদের জেরে শালিমারের নেপালি পাড়ার বস্তির মধ্যে দু’টি পরিবারের মধ্যে বিবাদ হয়। সেই বিবাদই গড়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তবে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে দ্রুত সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

সংঘর্ষে যুক্ত থাকার অভিযোগে রবি ও সুলতান নামে ২ জনকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। এই সংঘর্ষের জেরে কয়েকজন সামান্য আহত হয়। অবাঞ্চিত ঘটনার পর রবিবার  সকাল থেকেই হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে টহলদারি জারি রয়েছে এলাকায়। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। যাতে আর এই ঘটনা বড় আকার ধারণ না করে সেজন্য পুলিশ ধরপাকড় জারি রেখেছে।

পুলিশের তরফে জানান হয়েছে,এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের  চিহ্নিতকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে এই ধরণের ঘটনা দেখে কড়া বার্তা দেন। হাওড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব রুখতে পুলিশের কড়া প্রহরা সাধারণ মানুষের স্বস্তি ফিরিয়ে আনছে বলা যায়।