রাজ্যের খবর

শান্তিনিকেতনে বোধি চা উৎসব, প্রাচ্যের চিরায়ত সংস্কৃতির মেলবন্ধন

Tea Festival in Santiniketan

The Truth of Bengal: মজলিশী আড্ডা থেকে আধ্যাত্মিকতার আরাধনা , চায়ের জুড়ি মেলা ভার৷  চিনে এই চায়ের জন্মভূমি বলা হলেও ভারত সহ প্রাচ্যের নানা দেশে এই চা পানের সংস্কৃতি আলাদা আমেজ বয়ে আনে।একথা মাথায় রেখে বোলপুরে আয়োজন করা হয়েছে বোধি চা উত্সব। মূলতঃ মেজাজ বাড়াতে এই চিরাচরিত পানীয়ের প্রতি কমবেশি সবাই টান আছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুগ্ধ হয়ে চা পানের কথা লেখনীতে তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, পরবর্তী সময়ে কবিরসুমনের গানেও ভারতীয় চায়ের কদরের কথা উঠে আসে।

আর এই ভারতীয় উপমহাদেশে চিরাচরিত পানীয় কিভাবে একসূত্রে গেঁথে রেখেছে তাই মূলতঃ তুলে ধরা হচ্ছে এই চা উত্সবে।২৫রকমের উপকরণ দিয়ে তৈরি চা  তৈরি করে তা অভিনব উত্সবে পরিবেশন করা হচ্ছে।ভারত তো বটেই চিন, তাইওয়ান, জাপান, কোরিয়ার মতো দেশের মানুষ এই উত্সবে অংশ নিয়েছেন। অতিথি কেমন, কোন ঋতু, দিনের কোন সময়, মেজাজ কেমন রয়েছে এসেবর উপর নির্ভর করে কি ধরনের বা কোন স্বাদের চা বানানো হবে তা ভাবা হচ্ছে ৷

সিরামিকের পেয়ালায় এই চা দেওয়ার রীতি মানা হয়৷সাধারণতঃ তিনবার দেওয়া হয়। প্রতিবারই ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ, বর্ণ ও গন্ধ পাওয়া যায়৷ সময়-মেজাজ বুঝে 25 উপকরণে তৈরি হয় চা, শান্তিনিকেতনে অভিনব উৎসবে আগ্রহী বিদেশিরাও।কারণ পাশ্চাত্যের ব্রিটেনে যে ধরণের টি কালচার রয়েছে তার থেকে চিন-তাইওয়ান বা জাপানের চা পানের যে ভিন্ন সংস্কৃতি রয়েছে তাই এই বোলপুরের বোধি চা উত্সবে তুলে ধরা হয়েছে।এই প্রেক্ষাপটে বিদেশী থেকে ভারতীয় সবার কাছে এই চা উত্সব সংস্কৃতি বা রীতির দেওয়া-নেওয়ার  যে ভাবগম্ভীর পরিবেশ গড়ে তুলেছে তা এককথায় মেনে নিচ্ছেন সকলেই ।

Related Articles