রাজ্যের খবর

ডিভিসির ছাড়া জলে ভাসছে বাংলা

Bengal is floating in water without DVC

Truth Of Bengal : নিম্নচাপের বৃষ্টি কমলেও ডিভিসির জল ছাড়ার পরিমাণ কমছে না। ৪লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার ফলে বানভাসি হুগলি,হাওড়া, পঃমেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশ। ঘাটালের মতোই পাঁশকুড়ার জন্দড়ায় বাঁধ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করে লোকালয়ে।হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় প্লাবিতএলাকা পরিদর্শন করেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীদের মতোই পরিবহণ মন্ত্রী  স্নেহাশিস চক্রবর্তী দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বন্টন করেন,পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

বাংলা ভাসছে,গৃহহীন হওয়ার আশঙ্কায় বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষ। তবুও ডিভিসির জল ছাড়ার হিড়িক কমছে না।আবার পাঞ্চেত থেকে ৭০হাজার কিউসেক ও মাইথন থেকে ১০হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয় বৃহস্পতিবার।অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংস্থার কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজে চাষের জল মাঠে মারা যাচ্ছে।মেহনতের ফসলে জলে যাওয়ায় বাড়ছে ক্ষোভ।দাবি করছেন বানভাসি এলাকার মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি কত তা এখনই নিরুপণ না করা গেলেও কষ্টের দিন যাপন করা মানুষগুলো সম্পত্তি নষ্টের জন্য নিশানা করছেন কেন্দ্রীয় সরকারও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে।এরমধ্যে ডিভিসির এলোপাথাড়ি ছাড়া জলে    ৫টির ওপর জেলা বানভাসি হয়েছে।বন্যা পরিস্থিতির ধাক্কায় আর্থ-সামাজিক বিন্যাসও যেন এলোমেলো হচ্ছে।পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া আবার নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের সঙ্গে কাজে হাত মেলায় স্থানীয় জনসাধারণও। পাঁশকুড়া পুরসভার   গড় পুরুষোত্তমপুর এবং জন্দড়ায় নদীবাঁধ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করে। মুহূর্তেই প্লাবিত হয় পাঁশকুড়া পুরসভা এলাকার ১৮, ১৫, ১৭, ৬, ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ড।তারপর স্থানীয়রা জানান, প্লাবিত হয় ১১, ১২, ১৬ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। জন্দড়ায় প্রায় ৩০০ ফুট নদী বাঁধ ভেঙে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা গণেশচন্দ্র ভূঁইয়ার একটি দোতলা বাড়ি রীতিমতো হেলে পড়ে। মুহূর্তেই জলের তলায় তলিয়ে যায়, ধান সবজি ফুলের বাড়ি সহ পুকুর ঘাট।

পাঁশকুড়া ঘাটাল রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে বইতে শুরু করে কাসাইয়ের জলস্রোত।উদ্ধারকাজে সেখানে নামানো হয়েছে এনডিআরএফের দুটি টিম।  পাঁশকুড়া ব্লকের  চৈতন্যপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উদয়পুর, জগদীশপুর, বিজয়রামচক, হরিনারায়ণচক, গোবিন্দনগর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা বানভাসি। পাঁশককুড়া-ঘাটালের মতোই বন্যা কবলিত হুগলির জাঙ্গিপাড়া।

  • বন্যা কবলিত মানুষদের ত্রাণ-উদ্ধারকাজ
  • চলছে যুদ্ধকালীন তত্পরতায়
  • বিপন্ন মানুষের উদ্ধারে সাহায্যের হাত
  • বাড়িয়ে দিচ্ছেন মন্ত্রী-ডিএম-এসপিরা
  • ডিভিসির অপরিকল্পিত জল ছাড়াকে
  • দুষছেন প্রশাসনের কর্তা থেকে বানভাসিরা

অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে ভয়ঙ্কর ভাবে বন্যা কবলিত   জাঙ্গিপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে হাওড়া- হুগলির যোগাযোগ ব্যবস্থা।এমনিতেই উদনারায়ণপুর,আমতা ভাসছে অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে।  বিগত সাত থেকে আট বছরেও এত পরিমাণে জল দেখেনি গ্রামবাসীরা। রাজবলহাট এক এবং রাজবলহাট দুই প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা, প্লাবিত হয়েছে রশিদপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা, জলে প্লাবিত হয়েছে আখনা গ্রাম। জলের তোরে ফাটল দেখা দিয়েছে মূল বাঁধের দুই জায়গায়।

পুলিশ প্রশাসন এবং সেচ দপ্তরের কর্মীরা বাঁধের ফাটল  মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছে, ফলে জোর কদমে চলছে বাঁধ মেরামতির কাজ। বাঁধ মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছেন সাধারণ গ্রামবাসীরাও। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের আশ্রয় হয়েছে ত্রান শিবিরে ও স্থানীয় স্কুলে। ত্রাণ শিবিরে দুই বেলা গ্রামবাসীদের জন্য খাবার ও জল পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে।বন্যা কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে যান পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। বন্য কবলিত এলাকায় আটকে যাওয়া এক গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার করতে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী নিজে যান তার বাড়িতে স্পিড বোর্ডে করে।

পরিবহন মন্ত্রী উনাকে উদ্ধার করতে যাওয়ায় আপ্লুত সেই গর্ভবতী মহিলা। রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীর মতোই পরিবহনমন্ত্রী সেহাসিশ চক্রবর্তী  বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে জানান ডিভিসি পরিকল্পনা করে যদি জল ছাড়ে, মাঝে মাঝে বা খেপে খেপে যদি জল ছাড়া হয় তাহলে এইভাবে প্লাবিত হয় না। কেন্দ্রীয় সংস্থার অপরিকল্পিত জল ছাড়ার কারণে কৃষকের ফসল থেকে মানুষের মাথার ছাদ,সবই ভেসে যাচ্ছে।এই অভিযোগ করছেন, বানভাসি মানুষ।বাড়ছে সম্পত্তি হারানোর শঙ্কা,বাড়ছে ক্ষোভ।

Related Articles