পাহাড়ে উন্নয়নে গতি আনতে প্রশিক্ষকের ভূমিকায় অরূপ, প্রদীপ
সেখানে যাঁরা জিতেছেন, তাঁদের অনেকেই জানেন না, পঞ্চায়েতের কাজকর্ম ঠিক কী ভাবে চলে

The Truth of Bengal: দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়ন পৌঁছে দিতে চায় রাজ্য। সেই লক্ষ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাঁরা এখান থেকে যাঁরা জিতেছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার প্রয়োজন। সেই উদ্দেশে দার্জিলিংয়ে গিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী।
২২ বছর পর, পাহাড়ে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। সেখানে যাঁরা জিতেছেন, তাঁদের অনেকেই জানেন না, পঞ্চায়েতের কাজকর্ম ঠিক কী ভাবে চলে। তাই তাদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। সেই কারণে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দার্জিলিং গিয়েছে রাজ্যের দুই মন্ত্রী। রয়েছে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। বুধবার রাতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অনিতা থাপা।
বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, গ্রামপঞ্চায়েত কীভাবে পরিচালিত হয়, তা নতুনদের ক্ষেত্রে অজানা। তাই প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, পাহাড়ে উন্নয়ন আসুক। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা যাতে প্রত্যেকটি সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা বিনা বাধায় পান, তার ব্যবস্থা করা। তিনি জানান, জিটিএ যেমন রয়েছে, সেখানে তার পরিরিধি অনুসারে কাজ করবে, পঞ্চায়েত তার নিজস্ব কর্মপদ্ধতি মেনে কাজ করবে।
প্রসঙ্গত, গোর্খাল্যান্ডের দাবি একটা সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দার্জিলিং। সিবাস ঘিসিংয়ের নেতৃত্বে চলে সেই আন্দোলন বিক্ষোভ। তারপরেই পাহাড়ে তৈরি করা হয় স্বশাসিত সংস্থা দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল। যদিও পরে সেই বোর্ডের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। ফের একবার, বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে গোর্খাল্যান্ডের দাবি ওঠে। রাজ্য ও কেন্দ্রের ফের একবার তৈরি করা হয় আরও একটি স্বায়ত্তশাসন সংস্থা গোর্খ্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। সেটিও প্রায় আর্থিক দুর্নীতির কারণে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে পড়ে। পদত্যাগ করেন বিমল গুরুং। তারপর থেকে জিটিএ পরিচালিত হচ্ছিল একজন প্রশাসক দিয়ে। ২০২২ সালে ২৬ জুন নির্বাচন হয়। বর্তমানে জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ হিসেবে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার নেত্রী অনিতা থাপা। এখানে যেহেতু জিটিএ সংস্থা রয়েছে, তাই এখানে ত্রিস্তরের বদলে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে।