বয়ন শিল্পের বিকাশে হ্যান্ডলুম ঘর, প্রশাসনিক সহযোগিতায় আশায় শিল্পীরা
Artists hoping for administrative support

The Truth of Bengal: বাংলার সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বাংলার উন্নতি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে। সেই স্বনির্ভরতার স্বপ্নপূরণ করতে রাজ্যের নানা জায়গায় ক্ষুদ্রও কুটির শিল্পের উত্পাদন কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। যার অঙ্গ হিসেবে বীরভূমের লাভপুরে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।বিশেষ করে রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রিত তন্তুজের মাধ্যমে তাঁত ও বস্ত্র শিল্পের প্রসার ঘটনার চিন্তাধারা আর্থ-সামাজিক মাণোন্নয়ন ঘটাচ্ছে। বাম আমলের শেষ আর্থিক বছর ২০১০-১১ তে তন্তুজের ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৫৩ কোটি টাকাস বাৎসরিক ক্ষতি ছিল ১৪৮ কোটি টাকা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২০২১ ২২ আর্থিক বছরের তন্তুজের ব্যবসার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪৮.৫ কোটি টাকা।পরবর্তী সময়ে সেই শিল্পের কল্যাণে অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে।যার জন্য রাজ্য সরকার স্টার অফ গভর্নেন্স- স্কচ অ্যাওয়ার্ড ইন হ্যান্ডলুম অ্যান্ড টেক্সটাইলস” বিভাগে পায় স্কচ পুরস্কার। রাজ্যের তাঁত শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলায় জেলায় নানা প্রকল্প রূপায়ণ করা হচ্ছে।লাভপুরে তৈরি হচ্ছে হ্যান্ডলুম ঘর। এই হ্যান্ডলুম ঘরে একছাতার তলায় বহু শিল্পী বয়ন শিল্পে যুক্ত হতে পারেন।
ধনেখালী,শান্তিপুর বা ফুলিয়ার তাঁত বাংলার বয়ন শিল্পের বাজার দখল করে আছে।আগামীদিনে এইসব জায়গার শিল্পীদের সঙ্গে কুটির শিল্পের মানচিত্রে আসার জন্য লাভপুরের আবাডাঙার শিল্পীরাও উঠে আসতে চান।কারুকাজ থেকে নজরকাড়া শাড়ি উত্পাদন সবেতেই সেরা হওয়ায় লড়াইতে নামতেও চান তাঁরা।
ব্যবসায়িক দিক থেকে লাভ মেলার সঙ্গে সঙ্গে বাংলার শিল্পের উত্কর্ষের কদর আদায় করার জন্য প্রশাসন সবরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।সরকারি উদ্যোগে ক্ষুদ্রও কুটির শিল্পের বিকাশের জন্য কাজ চলছে দ্রুত।আশা. নতুন বছরে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প এখানকার ৩০০-ওপর পরিবারকে আত্মনির্ভর করার সুযোগ করে দেবে।