ভ্রমণরাজ্যের খবর

চলুন ঘুরে আসি জলদাপাড়া থেকে

Tourism of West Bengal

The Truth of Bengal: শহরের নির্জনতা থেকে মুক্তি পেতে হলে ঘুরে আসতে পারেন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যোনে। ১৯৪১ সালে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলায় অবস্থিত জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যোন হিসেবে ঘোষিত হয়। জলদাপাড়া ভ্রমণ হতে পারে আপনার এক জীবনের অনন্য অভিজ্ঞতা। আসন্ন পুজোয় সপরিবারে ঘুরে আসতে পারেন জলদাপাড়ায়। যদি নিরিবিলিতে থাকতে কয়েকদিন থাকতে চান, তাহলে ঘুরে আসুন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এই অভয়ারণ্যের আয়তন ১৪১ম বর্গ কিলোমিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬১ মিটার উচ্চতায় তোর্সা নদীর তীরে এই অভয়ারণ্য। জলদাপাড়া অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষিত হয় ১৯৪১ সালে। কীভাবে যাবেন জলদাপাড়ায়, তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।

হাসিমারা থেকে জলদাপাড়া যাওয়ার দূরত্ব ১১ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার

ফালাকাটা থেকে জাতীয় উদ্যানের দূরত্ব ১৪ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার

মাদারিহাট স্টেশনে নেমে জলদাপাড়া স্টেশনে পৌঁছনো যায়

কলকাতা থেকে বাসেও জলদাপাড়া যাওয়া যায়

জলদাপাড়ায় রয়েছে একশৃঙ্গী গণ্ডার। জলদাপাড়ায় রয়েছে হাতির দলও। জলদাপাড়ায় হলং বাংলোর সামনে রয়েছে জলাশয়। সেখানে নুন খেতে আসে হাতি, হরিণ, বাইসনের দল। হাতির পিঠে চেপে অরণ্যপথ ঘুরে বেড়ানো জলদাপাড়ার অন্যতম এক আকর্ষণ। এছাড়া চোখে পড়তে পারে ময়ূরের পেখম তুলে নাচও। জলদাপাড়ায় আরও যা কিছু রয়েছে, তার মধ্যে হাতি ছাড়াও রয়েছে সম্বর হরিণ, বুনো শুয়োর। এখানে রয়েছে নানা ধরনের সরীসৃপও। এছাড়া দেখতে পাবেন মিষ্টি জলে বসবাসকারী কচ্ছপের প্রজাতি। জলদাপাড়া যাওয়ার পথে পড়ে টোটোপাড়া। ঘুরে আসতে পারেন টোটোপাড়াতেও। এমুহূর্তে টোটোদের জনসংখ্যা এক হাজারের কাছাকাছি।

এছাড়া দেখে আসতে পারেন সাউথ খয়েরবাড়ি নেচার পার্ক। এখানে জীবজন্তুদের অবাধভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাবে। ব্যাটারিচালিত গাড়ি করে ঘুরতে পারে নেচার পার্কে। জলদাপাড়ায় বণ্যপ্রাণীদের সঙ্গে সময় কাটাতে রাজ্য সরকারের ট্যুরিজম ডেভলমেন্ট কর্পোরেশনের সাইটে গিয়ে হলং বাংলো বুক করতে পারেন। এছাড়াও থাকার অন্য ব্যবস্থাও রয়েছে। জাতীয় উদ্যানের বাইরে হোটেল, হোম স্টে রয়েছে। থাকতে পারেন সেখানেও। জলদাপাড়ায় সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। এজন্য হোটেল কিংবা হোম স্টে আগে থেকেই বুকিং করে রাখতে পারেন। ২০১২ সালে জলদাপাড়াকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জলদাপাড়া পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে কেবল বাংলাতেই নয়, সারা ভারতেই প্রসিদ্ধ।

Related Articles