আন্তর্জাতিক

আগামী দিনে মহাভারত ও গীতা পড়ানোর কথা ভাবছে পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়

যদিও দুই দেশ ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা হয়েছিল এবং দ্বিজাতি তত্ত্বের মাধ্যমে সীমারেখা নির্ধারিত হয়েছিল, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মিল আজও অস্বীকার করা যায় না।

Truth Of Bengal: পাকিস্তানে এবার সংস্কৃত ভাষা শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। লাহোরের একটি বিশ্ববিদ্যালয় আগামী দিনে মহাভারত ও গীতা পড়ানোর কথাও ভাবছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সংস্কৃত পাকিস্তানের সংস্কৃতিরও অংশ। যদিও দুই দেশ ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা হয়েছিল এবং দ্বিজাতি তত্ত্বের মাধ্যমে সীমারেখা নির্ধারিত হয়েছিল, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মিল আজও অস্বীকার করা যায় না।

ভারতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভাষা হিন্দি এবং পাকিস্তানের মূল ভাষা উর্দু—দুটো ভাষাই সংস্কৃতের অপভ্রংশ শৌরসেনী প্রাকৃত থেকে উদ্ভূত। এই কারণে উর্দু ও সংস্কৃতের মধ্যে ব্যাকরণ, বাক্যগঠন এবং শব্দভান্ডারের মিল রয়েছে। এভাবেই লাহোর ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানেজমেন্ট পাকিস্তানে সংস্কৃত শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, তারা তিন মাসের উইকেন্ড কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সংস্কৃত শেখাবে। ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।

ডঃ আলি উসমান কাসমি, গুরমানি সেন্টারের পরিচালক, জানিয়েছেন, পাকিস্তান সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে যথেষ্ট সমৃদ্ধ। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে বহু সংস্কৃত নথি ও তালপাতার পুঁথি সংরক্ষিত রয়েছে, যা স্বাধীনতার পর আর কেউ ব্যবহার করেনি। এবার এগুলো আগ্রহী শিক্ষার্থীদের পড়ানো হবে। এর ফলে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান বাড়বে এবং দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ একে অপরের ভাষা আরও ভালোভাবে শিখতে পারবে।

ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় গীতা ও মহাভারত পড়ানোর উদ্যোগও নিতে চলেছে। ডঃ আলি উসমান কাসমি আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী ১০–১৫ বছরের মধ্যে পাকিস্তানেও গীতা ও মহাভারত সম্পর্কে জ্ঞানী মানুষ দেখতে পাওয়া যাবে।

Related Articles