আন্তর্জাতিক

ওমানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বাক্ষরিত হবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত থাকতে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি ইতিমধ্য়েই মাস্কাটে পৌঁছেছেন।

Truth Of Bengal: জর্ডান ও ইথিওপিয়া সফর শেষ করে তিন দেশীয় সফরের অন্তিম পর্যায়ে বুধবার ওমান পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে ‘কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট’ বা ‘সেপা’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত থাকতে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি ইতিমধ্য়েই মাস্কাটে পৌঁছেছেন।

ভারত ও ওমানের মধ্যে এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে। উপসাগরীয় দেশগুলোর (GCC) মধ্যে ওমান ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারত মূলত ওমান থেকে পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং ইউরিয়া আমদানি করে, যা মোট আমদানির ৭০ শতাংশেরও বেশি। অন্যদিকে, ভারত থেকে ওমানে খাদ্যশস্য, রাসায়নিক দ্রব্য, ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি এবং বস্ত্র রপ্তানি করা হয়। এই চুক্তির ফলে দুই দেশই অধিকাংশ পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে বা সম্পূর্ণ তুলে দেবে, যা বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

ভারত ও ওমানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ওমানের সুলতানের ভারত সফরের পর মোদীর এই পাল্টা সফর দুই দেশের ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’কে আরও শক্তিশালী করবে। বাণিজ্য ছাড়াও প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, জ্বালানি, প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতির মতো ক্ষেত্রগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

সফরসূচি অনুযায়ী, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মাস্কাটে বসবাসরত ভারতীয় প্রবাসীদের একটি বিশাল সমাবেশে ভাষণ দেবেন। ওমানের উন্নয়নে ভারতীয়দের অসামান্য অবদানের কথা মাথায় রেখে এই কর্মসূচিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

আরব আমিরশাহীর (UAE) পর ওমান দ্বিতীয় GCC দেশ যার সাথে ভারত এই ধরনের বড় মাপের অর্থনৈতিক চুক্তি সম্পন্ন করল। ইথিওপিয়ার সাথে সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করার পর ওমানের সঙ্গে এই বাণিজ্য চুক্তি ভারতের বিদেশনীতির এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Related Articles