পুনরায় চালু হবে ব্যালট পেপারে ভোটদান? কি জানাল সুপ্রিম কোর্ট
Will ballot paper voting be resumed? What did the Supreme Court say?

Truth Of Bengal: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ব্যালট পেপারে ভোট পুনরায় চালু করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল একটি জনস্বার্থ মামলা। এদিন সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি খারিজ করেছে। এই মামলা দায়ের করেছিলেন ড. কে.এ. পল।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ ও পিবি বরালে’র বেঞ্চ মামলার শুনানির সময় আবেদনকারীকে প্রশ্ন করেন, “এই আবেদন করার জন্য এমন অভিনব ধারণা কীভাবে এল?”
শুনানির সময় বিচারপতিরা বলেন, “যখন আপনি নির্বাচনে জয়ী হন, তখন ইভিএম নিয়ে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু যখন হেরে যান, তখন ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়। এটা কীভাবে যুক্তিসঙ্গত?”
ড. পলের দায়ের করা এই জনস্বার্থ মামলায় ব্যালট পেপারে ভোটের পাশাপাশি আরও কিছু দাবি জানানো হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া যে, কোনো প্রার্থী যদি ভোটারদের টাকা, মদ বা অন্য কোনো প্রলোভন দেয়, তবে তাকে কমপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
যখন ড. পল নিজেকে একজন সমাজসেবী বলে দাবি করেন এবং উল্লেখ করেন যে তিনি তিন লাখ অনাথ ও চল্লিশ লাখ বিধবাকে সাহায্য করেছেন, তখন বেঞ্চ জানতে চায়, “আপনার কাজ তো অন্য ক্ষেত্রে। আপনি রাজনীতিতে আসছেন কেন?”
ড. পল বলেন, তিনি ১৫০টিরও বেশি দেশে ভ্রমণ করেছেন এবং সেখানে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণের উদাহরণ দেখেছেন। বিচারপতিরা পাল্টা প্রশ্ন করেন, “ভারত কেন বাকিদের থেকে আলাদা হতে পারে না? ব্যালট পেপারে ভোট হলেই কি দুর্নীতি বন্ধ হবে?”
ড. পল দাবি করেন, ইভিএমে কারচুপি সম্ভব এবং এটি প্রমাণ করার জন্য টেসলা সিইও ইলন মাস্কের বক্তব্যের উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, আগে চন্দ্রবাবু নাইডু এবং এখন জগন মোহন রেড্ডিও ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন।
কিন্তু বিচারপতিরা স্পষ্ট করে বলেন, “যখন চন্দ্রবাবু নাইডু হেরেছিলেন, তখন তিনি ইভিএম নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। এবার জগন মোহন রেড্ডি হারলেন, তিনিও একই কথা বলছেন। এটি কি কেবল একটি পরাজয়ের অজুহাত নয়?”
বেঞ্চ ড. পলকে জানায়, তার এই মামলা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারবে না। তবে বিচারপতিরা বলেন, নির্বাচনে দুর্নীতি কমাতে এবং ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সবসময় কাজ চালিয়ে যেতে হবে।