সু্প্রিমকোর্টে শুনানির পরেও নির্বাচনী বন্ড ছাপায় কেন্দ্রীয় সরকার,শোরগোল জাতীয় রাজনীতিতে
Union government prints electoral bonds despite Supreme Court hearing

The Truth Of Bengal: নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলল,সু্প্রিমকোর্টে শুনানির পরেও কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনী বন্ড ছাপায়,এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল জাতীয় রাজনীতিতে। অনেকের অভিমত,নির্বাচনী বন্ডকে শীর্ষ আদালত যে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করতে পারে তা বোধহয় কেন্দ্র আশা করেনি।তাই শুনানির পরেও নির্বাচনী বন্ড ছাপানো হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ শিল্প সংস্থা বা উদ্যোগপতিরা পরিচয় লুকিয়ে রেখে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থ প্রদান করে।যার জন্য বিজেপি আর্থিক ভাবে লাভবান হয় বলে বিরোধীদের অভিযোগ।ইলেক্টোরাল বন্ড সংক্রান্ত তথ্য অনুসারে, জানা গেছে, বিজেপি পায় ৬৯৮৬কোটি টাকা এবং কংগ্রেস পায় ১৩৩৪কোটি টাকা।সেই ইলেক্টোরাল বন্ডের ভাগ কেন্দ্রের শাসকরা কেন বেশি পেল তা নিয়ে বিরোধীদের একাংশের প্রশ্ন।
আসলে রাজনীতিতে কালো টাকার লেনদেন রুখতে ২০১৮-য় এই ইলেক্টোরাল বন্ড চালু করা হয়েছিল,এখন সেই ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য প্রকাশ্যে আসতে বিতর্ক বেঁধেছে। কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, শিল্পমহলের তরফ থেকে ঘুরপথে অনুদান প্রদানের এই বহর বাড়ায় আসলে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা কি করে থাকবে ? তাই স্বচ্ছ গণতন্ত্রের স্বার্থে সাধারণ নাগরিকমহলের দাবি মতো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শিল্প সংস্থার আর্থিক লেনদেনের একটা সুষ্ঠু সমন্বয়ে জোর দিচ্ছে অনেকেই।তাঁদের প্রশ্ন,শুনানির পরেও কেন কেন্দ্রীয় সরকার ইলেক্টোরাল বন্ড ছাপানোর পথে হাঁটে ?