সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা যাবে না! ব্লুমবার্গ মামলায় রায় দান সুপ্রিমকোর্টের
The voice of the press can not be stopped! The Supreme Court said in the Bloomberg case

The Truth of Bengal: জি এন্টারটেইমেন্টের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্লুমবার্গ। ‘ভুয়ো ও তথ্যগতভাবে সঠিক নয়’ বলে আদালতের দ্বারস্থ হয় জি। জ়ি এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে ব্লুমবার্গের ওই প্রতিবেদন সরিয়ে ফেলতে বলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল নিম্ন আদালত। এবার সেই স্থগিতাদেশ খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। শীর্য আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের বলে যদি কোনও প্রতিবেদন সরিয়ে নেওয়া হয়, সেটা শুধু লেখকের কণ্ঠই রোধ করে না, জনতার জানার অধিকারকেও খর্ব করে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উপরে শুনানির আগেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়ার প্রবণতা নিয়ে নিম্ন আদালতগুলোকে সতর্ক করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্য আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ কড়া অবস্থান নিয়ে জানিয়েছে কোনওভাবেই সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা যাবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জি এন্টারটেইনমেন্টের বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়ম সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ব্লুমবার্গ। জি-এর বিরুদ্ধে প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল কোম্পানি অ্য়াকাউন্টে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের গরমিল পেয়েছে সেবি। কিন্তু সেবির তরফে তেমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। জি এন্টারটেইনমেন্টের আর্থিক বেনিয়ম সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করায় আদালতের দ্বারস্থ হয় জি। ওই মামলায় ব্লুমবার্গকে নিম্ন আদালত প্রতিবেদন সরিয়ে ফেলার পাশাপাশি অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে। এবার এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতকে স্থগিতাদেশের ক্ষেত্রে সতর্ক করে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা যাবে না উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত।
আদালতের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, ‘‘সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার ক্ষেত্রে সম্মান ও গোপনীয়তার অধিকারের সঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথাও উপযুক্ত ভারসাম্যের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। সংবাদমাধ্যমের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ না হয়, সেটা দেখতে হবে। প্রতিবেদন সরাসরি কুৎসামূলক বা সম্ভাব্য মিথ্যাচার বলে মনে না হলে শুনানির আগে স্থগিতাদেশ দেওয়া উচিত নয়।’’ একই সঙ্গে এই সব ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল আদালত এবং হাই কোর্টগুলিকেও সক্রিয় হতে বলেছে বেঞ্চ। এখনকার দিনে যে ভাবে এসএলএপিপি (স্ট্র্যাটেজিক লিটিগেশন এগেনস্ট পাবলিক পার্টিসিপেশন) ঠুকে দেওয়া একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে, সেটা নিয়েও সতর্ক করেছে সুপ্রিম কোর্ট।