দেশ

কমছে দূষণের পরিমাণ, বাড়ছে দেশের নাগিরকদের আয়ু; কি তথ্য উঠে এলো রিপোর্টে?

The amount of pollution is decreasing, the life expectancy of the country's citizens is increasing

Truth Of Bengal: প্রবল বৃষ্টির কারণে কমছে দূষণের পরিমাণ। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট দ্বারা ‘এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স-২০২৪’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১-এর তুলনায় ২০২২-এ ভারতে কণা দূষণের পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, কণা দূষণের বিস্তর হ্রাস দেশের নাগরিকদের আয়ু বাড়িয়েছে প্রায় ৫১ দিন। ভারত যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্ষিক পিএম ২.৫ ঘনত্বের মান ৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটারে পূরণ করতে ব্যর্থ হয় তবে ভারতীয়দের আয়ু ৩.৬ বছর হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা যায়, দূষণ ঘাটতির পরিসংখ্যান অনুযায়ী শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। যা শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট দ্বারা ‘এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স-২০২৪’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ীল, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ভারতে কণা দূষণের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে ১৯.৩ শতাংশ। যার জেরে দেশবাসীর আয়ু বাড়ছে আনুমানিক ৫১ দিন।

ভারত এবং অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে কণা দূষণের হ্রাসের জন্য প্রধানত অনুকূল আবহাওয়া পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন গবেষকরা। দেশে আজকাল প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে, যার কারণে দূষণ কমেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সবচেয়ে দূষিত অঞ্চল, উত্তর সমভূমিতে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২১ সালে কণা দূষণের মাত্রা ১৭.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যদি বর্তমান দূষণের মাত্রা অব্যাহত থাকে, তবে এখনও প্রায় ৫.৪ বছর মানুষের গড় আয়ু হ্রাস করার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, আগামী বছরগুলিতে যদি কণা দূষণের মাত্রা একই হারে কমতে থাকে, তবে উত্তর সমভূমিতে আয়ু ১.২ বছর বৃদ্ধি পেতে পারে।

সরকারের নীতির প্রশংসা করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে গুজরাটে দূষণ প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এর প্রভাব ইতিমধ্যে দৃশ্যমান এবং সুরাটে দূষণ 20-30 শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধা না দিয়ে বায়ুর গুণমান এবং জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নতি অর্জন করা সম্ভব বলে জানা গবেষকরা। প্রতিবেদনে ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পেরও প্রশংসা করা হয়েছে। আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতে আবাসিক খাত থেকে নির্গমন হ্রাসকে মূলত এই প্রকল্পের দেশব্যাপী রোলআউটের জন্য দায়ী করা যেতে পারে।

Related Articles