বুলডোজারে বাড়ি ভাঙার বিরুদ্ধে কড়া বার্তা সুপ্রিমকোর্টের
Supreme Court issues strong message against bulldozer demolition of houses

Truth of Bengal: কেউ অভিযুক্ত বা দোষী সাব্যস্ত হলে তার বাড়ি ভেঙে দেওয়া যাবে না। পুলিস-প্রশাসন কখনই বিচারকের আসনে বসতে পারে না। বুধবার বুলডোজার নিয়ে রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণে একথা তুলে ধরেন। বিচারপতি বিআর গাভাই ও কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিসন বেঞ্চ এবিষয়ে একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইনও ঠিক করে দিয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগ,উঃপ্রদেশের যোগী সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বুলডোজারকে ব্যবহার করে।
তাই এই কড়া বার্তা বিজেপির অস্বস্তি বাড়াল বলে দাবি বিরোধী শিবিরের। বুলডোজার নীতি কার্যতঃ নাকচ করে দিল সুপ্রিমকোর্ট। ধাক্কা খেল যোগী সরকারের গাজোয়ারি নীতি।গেরুয়া সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিরোধীরা আবারও সোচ্চার। বলা যায়,সুখী গৃহকোণ তৈরির স্বপ্ন দেখেন সকলে। সর্বস্ব দিয়ে অনেকেই সেই স্বপ্নপূরণের চেষ্টা করেন। কিন্তু বর্তমানে বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভেঙে দেওয়ার ঘটনা বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ অন্যরাজ্যে বেড়ে চলেছে।
বিশেষ করে যোগী রাজ্যে উদ্বেগজনকভাবে বিরোধীদের বাড়ি ভেঙে দেওয়ার বারবার অভিযোগ ওঠে।তাই বিহীত চেয়ে শীর্ষ আদালতে একাধিক আবেদন করা হয়।সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি হয়।বিচারপতি বিআর গাভাই ও কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিসন বেঞ্চ এই বিষয়ে তাঁদের পর্যবেক্ষণে তুলে ধরেন, সংবিধানের ১৯ও ২১ তম অনুচ্ছেদে বাসস্থানের অধিকারের কথা উল্লেখ রয়েছে।
মৌলিক অধিকার বজায় রাখা প্রয়োজন রয়েছে। সেই জায়গায় ইচ্ছেমতো বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভেঙে দেওয়ার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় কড়া বার্তা দিল সুপ্রিমকোর্ট। পর্যবেক্ষণে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না। কোনও ব্যক্তি বিচার করতে পারেন না, কে দোষী আর কে দোষী নয়। কেউ এ ভাবে আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না।
’’ বিআর গাভাই ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ জানায়, আগে থেকে শোকজ় নোটিস ছাড়া কোনও কাঠামো ভেঙে ফেলা যাবে না। নোটিস পাঠানোর পর ১৫ দিন সময় দেওয়া হবে। তার পর বিষয়টি জেলাশাসককে জানানো হবে। জেলাশাসকের নিয়োগ করা নোডাল অফিসারের তত্ত্বাবধানে ভাঙার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে।
সংবিধানের ১৪২ ধারা অনুযায়ী নির্দেশিকাও জারি করেছে শীর্ষ আদালত। এই বিষয়ে গাইডলাইন ঠিক করে দিল সুপ্রিমকোর্ট। তাই সুপ্রিমকোর্টের এই কড়া বার্তার পর বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো তাঁদের বুলডোজার নীতিতে বদল আনুক,চাইছেন বিরোধী নেতারা। এখন গাজোয়ারি কাজ ছেড়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো কোনপথে হাঁটে,তাই দেখার।